৩১ জানুয়ারি ফের একবার ত্রিপুরা হাইকোর্টে উঠছে প্রাক্তন মন্ত্রী বাদল চৌধুরীর জামিনের মামলা। ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম লোধের এজলাসে উঠবে এই মামলা। বাদল চৌধুরীর হয়ে আদালতে সওয়াল করবেন তার আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মণ। গত ৮৫ দিন ধরে বন্দী রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তনমন্ত্রী বাদল চৌধুরী। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার তার জামিনের আবেদন নাকচ করেছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বিশেষ আদালত। বাদল চৌধুরীর আইনজীবীরা জানিয়েছেন সাত বার জামিনের আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে আদালত। বাদল চৌধুরী এখন বিশালগড়ে অবস্থিত সেন্ট্রাল জেলে আটক। তার শারীরিক অবস্থাও তেমন ভালো না। ১৮ জানুয়ারি তিনি জেলে পড়ে যান। পরদিন তাকে জিবিতে ভর্তি করানো হয়েছিল। তার হাড়ে চিড় ধরা পড়েছে।
গত বছর ১৩ অক্টোবর পূর্ত দপ্তরের কাজে অনিয়মের অভিযোগে প্রাক্তন পুর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী, পূর্ত দপ্তরের প্রাক্ত চীফ ইঞ্জিনিয়ার সুনীল ভৌমিক এবং দপ্তরের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি যশপাল সিং’এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার । সুনীল ভৌমিক গ্রেপ্তার হন এফআইআর দাখিল হওয়ার সাথে সাথেই। বাদল চৌধুরীকে দুই দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল পাশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বিশেষ আদালত। পরে ১৬ অক্টোবর তার জামিন বাতিল হয়। ২১ অক্টোবর অসুস্থ বাদল চৌধুরী আগরতলার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হন। সেদিন রাতেই পুলিস তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ছিল বুড়ো আঙুলের টিপ সই নিয়ে। ৩০ তারিখ পর্যন্ত ওই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন চৌধুরী। ৩০ অক্টোবর পুলিস তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে এনে আদালতে তোলার চেষ্টা করে। আগরতলা হাসপাতাল থেকে আনার কিছুক্ষণের মধ্যে থানাতেই ফের অসুস্থ হয়ে যান বাদল। তাকে আর আদালতে তোলা যায়নি সেদিন। ভর্তি করানো হয় সরকারী জিবিপি হাসপাতালে। ৮ নভেম্বর শেষ পর্যন্ত আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় সিপিআই (এম)-এর এই নেতাকে। সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত আটক আছেন তিনি। সব নিয়ে গত ৮৫ দিন বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন সিপিআই(এম)-এর এই নেতা। তার দল থেকে দাবি করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনেই তার বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দায়ের করেছে বর্তমান সরকার। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা অধিবেশনেও বাদল চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে ওয়াক আউট করেছে সিপিআই(এম) বিধায়করা। আগরতলা, ত্রিপুরা