সিরিজ গত ম্যাচেই জিতে নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি । তৃতীয় টি টোয়েন্টি জেতার পরই ভারত অধিনায়ক জানিয়েছিলেন যে নিউজিল্যান্ডের সাথে শেষ দুইটি টি টোয়েন্টিতে রিজার্ভ বেঞ্চকে পরীক্ষা করে নেবেন । উল্লেখ্য প্রথম তিনটি টি টোয়েন্টিতে ভারতীয় দল অপিরিবর্তীত ছিল । চতুর্থ ম্যাচে দলে তিনটি পরিবর্তন আনা হয় । দলে আসেন সঞ্জু স্যামসন , ওয়াশিংটন সুন্দর এবং নভদ্বীপ সাইনি । বিশ্রাম দেওয়া হয় হিট ম্যান রোহিত শর্মা , রবীন্দ্র জাদেজা এবং মোহম্মদ সামি কে । গত ম্যাচে সুপার ওভারে শেষ দুই বলে দুইটি ছয় মেরে দলকে জিতিয়েছিলেন রোহিত । কুড়িতম ওভারে অসাধারণ বল করে ম্যাচকে সুপার ওভারে নিয়ে গিয়েছিলেন সামি । রোহিতের জায়গায় আজ কে এল রাহুলের সাথে ওপেন করতে নামেন সঞ্জু স্যামসন । সিরিজ জেতার পর বিরাট এও জানিয়েছিলেন পাঁচ শূন্য ফলের জন্যই দল ঝাঁপাবে।
কেরালার পঁচিশ বছরের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান ইতিমধ্যেই সাড়া জাগিয়েছিলেন তার মারমূখী ব্যাটিং এর জন্য কিন্তু নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেন নি । আট রান করেই আউট হন স্যামসন । দল যখন একজন উইকেটকিপার অলরাউন্ডারের সমস্যায় ভুগছে তখন স্যামসনের আরো দায়িত্বশীল ব্যাটিং সবার কাছেই প্রত্যাশিত ছিল । পাঁচ বল খেলেন স্যামসন । একটি ছয় মেরে ছিলেন। জাদেজার বদলী অলরাউন্ডার হিসাবেই দলে এসেছেন ওয়াশিংটন সুন্দর ।তিনি আউট হন শূন্য রানে । দলের মিডল অর্ডারে অধিনায়ক নিজেও ভাল খেলতে পারেন নি । রান করেছেন এগার । শ্রেয়স আয়ারও ব্যর্থ । রান করেছেন এক । দুইটি চার সহ পনের বলে কুড়ি রানের একটি ছোট ঝড়ো ইনিংস খেলেন শার্দূল ঠাকুর । শেষ পর্যন্ত মনীশ পান্ডের দায়িত্বপূর্ণ ৩৬ বলে পঞ্চাশ রান এবং নভদ্বীপ সাইনির ৯ বলে এগার রানকে ভর করে নির্দ্ধারিত কুড়ি ওভারে ১৬৫ রান করে ভারত । জয়ের জন্য ওভার প্রতি ৮.৬ করে রান তুলতে হবে নিউজিল্যান্ডকে।কিউই বোলারদের মধ্যে ইশ সোধি ২৬ রানে তুলে নেন তিনটি উইকেট । ৪১রান খরচ করে দুইটি উইকেট পান ব্যানেট একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাউদি (১-২৮) , স্কট (১-৩৯) এবং সেন্টনার (১-২৬) ।