ত্রিপুরায় বিজেপির নতুন সভাপতি মানিক সাহাকে টার্গেট দিলেন বিদায়ী সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব।
টার্গেট ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে ৬০-এ-৬০ ।সবাইকে এক সঙ্গে নিয়ে কাজ করবেন মানিক সাহা। এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশের বিদায়ী সভাপতি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
১৫ জানুয়ারি দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা হয়েছে ত্রিপুরার বিজেপি সভাপতি হিসাবে ডাক্তার মানিক সাহার। সাংবাদিক সম্মেলন করে তার নাম ঘোষণা করেন দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের অবজারভার মহেন্দ্র সিং। ছিলেন অরেক অবজারভার কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবীন্দ্র সিং শেখাওয়াত। আগরতলার কৃষ্ণনগরে অবস্থিত বিজেপির রাজ্য দপ্তরে হয় সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানে বিদায়ী সভাপতি বিপ্লব দেব জানান, ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি সভাপতি হন। ছোট্ট দল নিয়ে কাজ শুরু। তখন অনেকেই বলেছিলেন, অনভিজ্ঞ দল এবং নেতৃত্ব। কিন্তু তারাই ত্রিপুরাতে ইতিহাস করে দেখিয়েছেন, দাবি বিপ্লব দেবের। তার বক্তব্য, এখন মানিক সাহা দলের মুখিয়া হয়েছে। তার দায়িত্ব দলের সবাইকে এক জায়গায় রাখা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন এবং অমিত শাহ্র রণনীতিকে কাজে লাগিয়ে মানিক সাহা কাজ করবেন। এবং এখন থেকেই ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কাজ শুরু করে দেবেন।
বিপ্লব দেব মানিক সাহার উদ্দেশ্যে বলেন, “২০১৮ সালে ৩৬টি আসন পেয়েছিলাম । ২০২৩-এ সবগুলি আসন আমার চাই। সেভাবেই কাজ করুন”।
সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরা বিজেপির নতুন সভাপতি মানিক সাহা বলেন, “সভাপতি পদটি শুধু অলঙ্কৃত করার জন্য না। এর দায়িত্ব আছে। দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। ২০১৬ সালে আমি বিজেপিতে যোগ দেবার পর আমাকে যা দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা করার চেষ্টা করেছি। ৬০-এ ৬০ লক্ষ্য নিয়েই কাজ করব”।
মানিক সাহা বলেছেন, সভাপতির দায়িত্ব অনেকটা ‘রীলে রেস’-এর মতো। সবার সহযোগিতা পেলেই ফিনিসিং পয়েন্টে পৌঁছান যাবে।
১৫ জানুয়ারি বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশের জন্য নির্বাচন হবার কথা ছিল। কিন্তু ১৪ জানুয়ারি মানিক সাহা ছাড়া আর কোন প্রার্থী মনোনয়ন তোলেন নি। বিনা লড়াইতে সভাপতি হন দন্ত চিকিৎসক মানিক সাহা।
ভিডিও ব্যবস্থাপনায় অভিজিৎ
আরও খবর এই নিয়েঃ
রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন ডাক্তার মানিক সাহা
আগরতলা, ত্রিপুরা