৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে দুদিনের ব্যাঙ্ককর্মীদের ধর্মঘট। ধর্মঘটে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ত্রিপুরাতেও। প্রায় সব ব্যাঙ্কেরই ঝাঁপ বন্ধ ত্রিপুরাতে।
ব্যাঙ্ককর্মীদের নয়টি সংগঠন এক সঙ্গে গোটা দেশে পরপর দুদিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি।
কিন্তু ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে পরপর তিন দিন। ব্যাঙ্ক বন্ধ। ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার। তাই সেদিনও বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।
ব্যাঙ্ককর্মী ইউনিয়নের নেতা নিখিল দাস জানিয়েছেন, ত্রিপুরাতে এই ধর্মঘটে তারা ভালো সাড়া পেয়েছেন। রাষ্ট্রয়াত্ব সব ব্যাঙ্কের শাখা ত্রিপুরাতে বন্ধ রয়েছে। এমনকি ত্রিপুরা গ্রামীন ব্যাঙ্কের কর্মীরাও যোগ দিয়েছেন তাদের এই আন্দোলনে। ত্রিপুরাতে শুধু ত্রিপুরা কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের শাখা খোলা। কিছু কিছু জায়াগায় বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীরাও যোগ দিয়েছেন এই ধর্মঘটে।
ব্যাঙ্কের পরিচালনাধীন যেসব এটিএম কাউন্টার রয়েছে ত্রিপুরাতে সেখানেও ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে।
শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শাখার সামনে দাঁড়িয়ে কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে শ্লোগান দেন।
বৃহস্পতিবার বৈঠক হয়েছিল ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ব্যাঙ্ককর্মীদের প্রতিনিধিদের। কিন্তু সেই বৈঠক থেকে কোন রেজাল্ট আসেনি। পরে দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অটল থাকে ব্যাঙ্ককর্মীদের নয়টি সংগঠন।
বেফি সহ ৯টি সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়েছে, মোট ১২ দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম চালাচ্ছেন ব্যাঙ্ককর্মীরা। তাদের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম একাদশ বেতন চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বেতন বৃদ্ধি, পেনশন পলিসির সংস্কার, চুক্তিবদ্ধ ব্যাঙ্ককর্মীদের সমকাজে সমান বেতন, কাজের সময় নির্দিষ্ট করা, সপ্তাহে পাঁচদিন ব্যাঙ্কিং এসব।
নয়টি সংগঠন হুমকি দিয়েছে পরিস্থিতি না বদলালে ১১-১৩ মার্চ তিনদিনের ধর্মঘট হবে। দরকার হলে আরও বড় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হবে ১ এপ্রিল থেকে।
আগরতলা, ত্রিপুরা