আদালতের ডাকে না আসায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল পশ্চিম ত্রিপুরার বামুটিয়া এলাকার বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস’র নামে ।
বছর তিনেক আগে আগরতলায় রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে হুজ্জতি চালানো, সরকারি সম্পদ নষ্ট করা, ইত্যাদি নানা অভিযোগে বেশ কয়েকজনের সাথে কৃষ্ণধন অভিযুক্ত হন। মামলাটি চলছে, তবে বিধায়ক আদালতে যাচ্ছেন না। বার তিনেক একই ব্যাপার। তারপরেই আগরতলার এক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট’র আদালত থেকে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে । বিধায়কের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি হয়েছে। পুলিশকে বলা হয়েছে, এই পরোয়ানা কেন কার্যকর হয়নি, সেটা যেন আদালতকে জানানো হয়।
পরশুর আগের দিন, ২৮ জানুয়ারী, বিচারক সঞ্জনলাল ত্রিপুরা এই মামলার পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন ৩ ফেব্রুয়ারী। মামলাটিতে সাংসদ, বিধায়ক যুক্ত আছেন বলে, এই মামলা দ্রুত শেষ করার কথাও বলেছে আদালত।
কৃষ্ণধন দাসের সাথে সুবল ভৌমিকও, তিনি এখন আবার দল পাল্টে কংগ্রেসে,তখন বিজেপি ছিলেন, অভিযুক্ত। বিধায়ক কল্যাণী রায়, সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক, প্রাক্তন মন্ত্রী জওহর সাহা, বিজেপি নেতা রাজীব ভট্টাচার্য, রাজেন্দ্র ধ্যানী, তাপস মজুমদার অভিযুক্তের তালিকায় আছেন। তাপস মজুমদার ও জওহর সাহা’র নামে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।
বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস তার বিরুদ্ধে এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন। তার মতে , গণতন্ত্র উদ্ধারে তিনি তখনকার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বাড়ি অভিযান করেছিলেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর, বিধায়ক জানিয়েছেন,তিনি ৩ ফেব্রুয়ারী আদালতে যাবেন।
আগরতলা, ত্রিপুরা