EXCLUSIVE EXCLUSIVE EXCLUSIVE
লিপিকা পালকে মনে আছে?
ত্রিপুরা সরকারের কর্মী ছিলেন। চাকরি থেকে অবসর নেবার ঠিক চারদিন আগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, গত ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর আস্তাবল ময়দানে একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া, ফেসবুকে রাজনৈতিক দলের হয়ে মন্তব্য পোস্ট করেছেন।
এই দুই অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল লিপিকা পালকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। আর চারদিন পর, ৩০ এপ্রিল, চাকরি থেকে অবসরে যাবার কথা । শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। তার সমস্ত পাওনা-গণ্ডা আটকে দেয়া হল।
ত্রিপুরা হাইকোর্টে আপীল করেছিলেন লিপিকা পাল। তার আইনজীবী, পুরুষোত্তম রায় বর্মণ।
পুরুষোত্তমবাবু বলেছেন, বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ এ কুরেশি রায় দিয়েছেন, রাজনৈতিক দলের সমাবেশে যোগ দেয়া অন্যায় না। সমাবেশে বিভিন্ন অংশের মানুষ যান। সেখানে কেউ শ্রোতা হিসাবে যেতেই পারেন। নিজের মতামত গঠন করতেও রাজনৈতিক সমাবেশে যেতে পারেন কেউ। তার অর্থ এটা না, তিনি দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করছেন।
পুরুষোত্তমবাবুর কতা, রায় দিতে গিয়ে প্রধানবিচারপতি উল্লেখ করেছেন, সোশ্যাল সাইটে কিছু মন্তব্য করা মানেই কোনও ধরণের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো না, বা রাজনৈতিক দলের হয়ে কথা বলা বোঝায় না।
লিপিকা পালের বিরুদ্ধে যে বিভাগীয় তদন্ত চলছে, তা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট, এবং লিপিকা পালের সমস্ত বকেয়া পাওনা দু’মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে।
সরকারের পক্ষ হয়ে এই মামলার সওয়াল করেছিলেন দেবালয় ভট্টাচার্য।
[আগরতলা, ত্রিপুরা]