৩১ জানুয়ারি জামিন হল না ত্রিপুরার প্রাক্তনমন্ত্রী বাদল চৌধুরীর। এদিন ত্রিপুরা হাইকোর্টে জামিনে আবেদনের মামলাটি উঠেছিল। সরকার পক্ষ সময় চায় আদালতের কাছে। ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম লোধ সময় মঞ্জুর করেন। তাই ৩১ জানুয়ারি এই মামলার উপর কোন শুনানী হয় নি।
১ ফেব্রুয়ারি শনিবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিশেষ আদলাতে এই মামলাটি আবার উঠবে। জানিয়েছেন সরকারী আইনজীবী রতন দত্ত। সরকার পক্ষ থেকে এদিন তিনিই কোর্টের কাছে সময় চান।
বিচারপতি অরিন্দম লোধ ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে এই মামলার সিডি জমা দিতে নির্দেশ দেন।
গত ৮৫ দিন ধরে বন্দী রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তনমন্ত্রী বাদল চৌধুরী। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার তার জামিনের আবেদন নাকচ করেছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বিশেষ আদালত। বাদল চৌধুরীর আইনজীবীরা জানিয়েছেন সাত বার জামিনের আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে আদালত। বাদল চৌধুরী এখন বিশালগড়ে অবস্থিত সেন্ট্রাল জেলে আটক। তার শারীরিক অবস্থাও তেমন ভালো না।
গত বছর ১৩ অক্টোবর পূর্ত দপ্তরের কাজে অনিয়মের অভিযোগে প্রাক্তন পুর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী, পূর্ত দপ্তরের প্রাক্ত চীফ ইঞ্জিনিয়ার সুনীল ভৌমিক এবং দপ্তরের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি যশপাল সিং’এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার । এই মামলাতেই জেলে বন্দী রয়েছেন ঋষ্যমুখের সিপিআই(এম) বিধায়ক বাদল চৌধুরী। তার দল থেকে দাবি করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনেই তার বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দায়ের করেছে বর্তমান সরকার। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা অধিবেশনেও বাদল চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে ওয়াক আউট করেছে সিপিআই(এম) বিধায়করা।
আগরতলা, ত্রিপুরা