অজগর খেয়েছেন গ্রামের মানুষ। ঘটনা রবিবার বিকালের। উত্তর ত্রিপুরা জেলায় মিজোরাম সীমান্তে।
দুই রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় চিমলুং নামে একটি গ্রাম রয়েছে। কাঞ্চনপুর মহকুমাতে। সেই গ্রামের মানুষ আজগর কেটে খেয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমেও এই ছবি ভাইরাল হয়েছে।
রবিবার কাটা হয় ছয়টি আজগর। বাজারেই ছাল ছাড়িয়ে অজগরের মাংস বিক্রি হয়েছে।
চিমলুং প্রত্যন্ত গ্রাম, ত্রিপুরার শহরের বাজারগুলিতেই সংরক্ষিত তালিকায় থাকা কচ্ছপ বিক্রি হয় দেদার, সবার চোখের সামনেই। রাজধানী আগরতলায় সরকারি বাজার শেডে বসেই তা বিক্রি হয় চড়া দামে। বেশ কয়েকটি হোটেলেও।
গত বছর জুলাইয়ে, আসামের কানহুম গ্রামে একটি পালিত হাতি মারা যায়। হাতিটির নাম ছিল লক্ষ্মী। এই গ্রামের মানুষজন হাতিটি কেটে তার মাংস খান। কানহুম গ্রামটি আসাম-মিজোরাম সীমান্তে।
পশুদের নিয়ে কাজ করে এমন বেশ কিছু সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে এ ঘটনার।
ত্রিপুরার চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন ডি কে শর্মা বলেছেন, তারাও সামাজিক মাধ্যমে ছবি দেখেছেন। স্থানীয় বনাধিকারিকদের বলা হয়েছে গ্রামটি ঘুরে এসে রিপোর্ট দিতে। যারা সাপ কেটেছেন তাদের সনাক্তকরার জন্যও বলা হয়েছে। ডিওএফও রিপোর্ট দেবেন।
কাঞ্চনপুরের বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসার বিবৃত মারাক জানিয়েছেন তদন্ত শুরুর কথা।
চিমলুং প্রত্যন্ত এলাকা, সেখানে মানুষ অজগর খাওয়া বেআইনি, সেটা জানেন কিনা, সন্দেহ আছে! সেই প্রচারও নেই। আগরতলায় যে সমস্ত বাজারে কচ্ছপ খোলামেলা বিক্রি হয়, প্রতিটি বাজারের প্রায় ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বন দফতর , নয়ত পুলিশ কেন্দ্র রয়েছে। মাঝে মাঝে পোস্টার/ব্যানার লাগানো ছাড়া কিছুই হয় না, আইনি ব্যবস্থা ওই পর্যন্তই। ত্রিপুরায় হরিণের মাংসও বিক্রি হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সপ্তাহ বছরের বছর ধরে আনুষ্ঠানিকতাতেই আটকে আছে। গণ সচেতনতার কার্যকর কোনও কাজ বন দফতর কিংবা সচেতন নাগরিক সমাজ করছেন বলে চোখে পড়ে না।
আগরতলা, ত্রিপুরা