বিতর্কিত অযোধ্যা মামলায় দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় রায় দিয়েছিল মসজিদ নির্মাণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ একর জমি সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে তুলে দিতে হবে। সেই নির্দেশ অনুসারে উত্তরপ্রদেশ সরকার পাঁচ একর জমি চিহ্নিত করে বরাদ্দ করেছে।
অযোধ্যার যে স্থানে রাম মন্দির নির্মিত হবে সেই জায়গা থেকে প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার দূরে মসজিদের জন্য জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে ।
জায়গাটি অবশ্য অযোধ্যা জেলারই অন্তর্গত। লখনউ হাই ওয়ের পাশে অবস্থিত এই জায়গা চিহ্নিত করার আগে সরকারের পক্ষ থেকে সুন্নি বোর্ডের কোনও মতামত নেওয়া হয় নি বলেও প্রশ্ন উঠেছে ।
ধননিপুর গ্রামের এই জায়গা সরকার বরাদ্দ করলেও সুন্নি বোর্ড তা গ্রহণ করবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট হয় নি ।
এদিকে সুন্নি বোর্ডের পক্ষ থেকে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ের ওপর আলোচনার জন্য এক বিশেষ সভা ডাকা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জমি বরাদ্দ করার সাথে সাথেই সুন্নি বোর্ড তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া জানায় নি বরঞ্চ ২৪ ফেব্রুয়ারি আহুত সভা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই গুঞ্জন উঠেছে ।
উল্লেখ্য গত বছরের নভেম্বরে দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর এলাকাতেই রাম মন্দির স্থাপনের পক্ষে রায় দেয়। এই রায়ে মসজিদ নির্মাণের জন্য ৫ একর ভূমি বরাদ্দ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ।
রায় দানের তিন মাসের মধ্যে রাম মন্দির পরিচালনার জন্য ট্রাস্ট গঠনের কথাও রায়ে বলা হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী লোকসভায় জানান যে ট্রাস্ট গঠনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ।
প্রধানমন্ত্রী জানান শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র নামের এই ট্রাস্ট একটি স্বশাসিত সংস্থা হিসাবে কাজ করবে।