দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনের উত্তাপ সামান্য হলেও রাজধানীর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক প্রতিবাদকে ব্যাক সিটে ঠেলে দিয়েছিল।
মিডিয়া ব্যস্ত থেকেছে নির্বাচনি উত্তাপ মাপতেই।
সব এক্সিট পোলের একটাই ভাষ্য ছিল। আপ আসছে।
আজ সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হবার পর এক্সিট পোলকে সঠিক প্রমাণ করেই এগিয়ে গেছে আপ। আপাতত অবস্থা যা , পঞ্চাশটির বেশী আসন নিয়েই ক্ষমতায় আসছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল।
দিল্লীর রাজনীতিতে ছাত্র নেতারা বিশেষ মতামত জানাবেন না এমন হতে পারে না ।
তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় আসা যখন সুনিশ্চিত , নতুন বিধানসভা যাতে সি এ এ , এন আর সি এবং এন পি আর’র বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এমনটাই দাবি জানিয়ে রাখলেন জে এন ইউ’র এক ছাত্র নেতা।
‘আপের জয় দেশের জন্য একটি শুভ সূচনা’ এমনই বিশ্বাস করেন জে এন ইউ’র ছাত্র নেতা সাকেট মুন।
আপের জয়কে এক অর্থে সাপ্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মানুষের মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলেও মুন মন্তব্য করেন।
মুন এও বলেন , “মানুষ যে বিভেদের রাজনীতির ওপরে উন্নয়ন কে স্থান দিচ্ছে প্রমান হল”।
জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কাউন্সিলের নেত্রী সাফুরা বললেন , “প্রত্যাশা থাকবে যে আপ এন আর সি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে”।
তিনিও নতুন বিধানসভার কাছে সি এ এ বিরোধী সিদ্ধান্ত নেবার দাবি জানান।
দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ স্টুডেন্ট ইউনিয়নের অফিস বেয়ারার’রা এ বি ভি পি’র।
ডি ইউ এস ইউ’র সভাপতি , এবিভিপি নেতা অক্ষিত দাহিয়ার মতে দিল্লী বিধানসভা শক্তিশালী বিরোধী দল পেতে যাচ্ছে । গণতন্ত্রের জন্য এই তো দরকার।
এখন পর্যন্ত ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য মোতাবেক বিজেপি খুব বেশি হলে ৮টি আসন দখল করতে যাচ্ছে। ৭০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় বিজেপির শতাংশের হিসাবে আসন হবে ১১ শতাংশের একটু বেশি।
নতুন সরকারের কাছে তার দাবি নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যাতে পূরণ হয়।