ত্রিপুরায় উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী মে মাসে। এর আগেই করতে হবে নির্বাচন। টি টি এ এ ডি সি’র আসন সংখ্যা ২৮।
এই নির্বাচন কি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে অনুষ্ঠিত হবে ? রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনো এই বিষয়ে নিশ্চিত নয়।
ত্রিপুরায় শেষ দুটো টি টি এ এ ডি সি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছিল। ২০০৫ সালের টি টি এ এ ডি সি নির্বাচনে শেষবার ব্যালট পেপার ব্যবহার হয় । ২০১০ এবং ২০১৫ সালের নির্বাচনে ছিল ই ভি এম ।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনো চূড়ান্ত ভাবে জানাতে পারে নি আগামী নির্বাচন ইভিএম এ হবে কিনা। ইভিএম’র সরকারি ভাবে মালিক ভারতের নির্বাচন কমিশন।
ভারতের নির্বাচন কমিশন থেকে বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে ইভিএম ‘লোন’ হিসাবে নেয় । নির্বাচন শেষ হলে আবার ফেরত দিয়ে দেয়। ইভিএম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু আইনি ব্যবস্থা রাজ্যের নির্বাচন কমিশন গুলোকে অনুসরণ করতে হয়। যথেষ্ট সময় হাতে রেখেই ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে ইভিএম এর লোনের জন্য চিঠি পাঠাতে হয়। সাধারণত এক বছর আগে থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়।
জানা গেছে ত্রিপুরার রাজ্য নির্বাচন কমিশন ইভিএম লোনের জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশনের সাথে যোগাযোগ করেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত সবুজ সংকেত আসে নি । সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে যে ভারতের নির্বাচন কমিশন হয়তো কোন বিশেষ কারণে ইভিএম লোন দেবে না। এরকম একটি অবস্থায় গত দুটো নির্বাচন ইভিএম এ করার পরও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ব্যালট পেপারেই নির্বাচন করতে হতে পারে।
ব্যালট পেপারে সব নির্বাচন করার দাবিতে দেশের প্রায় সব বিরোধী দল গুলোই সরব।দুটো নির্বাচন ইভিএম এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবার পর ত্রিপুরায় উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচন যদি এবার ব্যালট পেপারের মাধ্যমে করতে হয় স্বভাবতই অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে।
‘যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে সম্ভবত ইভিএম লোনের জন্য চিঠি পাঠানো হয় নি’।এইরকম অভিমতই ব্যক্ত করেছেন নির্বাচনের কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
রাজ্যে বিজেপি -আইপিএফটি জোট সরকার গঠিত হবার পর ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের উপনির্বাচন এবং ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাজে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো মোটেও সন্তুষ্টি জানায় নি।