দিল্লির বিধানসভা দখলে চেষ্টার কসুর করছে না বিজেপি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দিল্লিতে বিজেপির হয়ে প্রচার করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বাঙালিদের একটি জমায়েতে বক্তব্য রাখেছেন তিনি। আগে ত্রিপুরা থেকে দিল্লিতে প্রচারে গিয়েছিলেন প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রী, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ।
দিল্লিতেই এখন প্রচার করেছেন পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। ৩ ফেব্রুয়ারি যেখানে বিপ্লব দেব বক্তব্য রাখেন সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন ত্রিপুরার যুবমোর্চার সভাপতি টিঙ্কু রায়। মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী নীতি দেবও সঙ্গে ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেছেন, ২৫ বছর একটানা কম্যুনিস্টরা ত্রিপুরায় শাসনে ছিল। তার সময়ে কিছু না হলেও, মানুষ মন খুলে কথা বলতে পারে। হাসতে পারে। নিজের ইচ্ছায় কিছু করতে পারে। তার এগে তেমনটা ছিল না। গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল না। তা থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি মুক্ত করেছে ত্রিপুরাকে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবালের উল্লেখ করে বিপ্লব দেব বলেন, দিল্লিতে লোকায়াত্বের কথা ( কয়েকবছর আগে) যখন কেজরিবাল বলেছিলেন, তখন তিনি তার বন্ধুদের বলতেন তিনি নতুন কিছু বলছেন না। তার ( কেজরিবাল) পড়াশুনা বাংলার খড়্গপুরে। তার বন্ধু-বান্ধব, সব কম্যুনিস্ট। কম্যুনিস্টের বীজ নিয়ে দিল্লিতে এসেছেন। সামনে রেখেছে্ন আম আদমি পার্টির গল্প। বিপ্লব দেব দাবি করেছেন, তিনি কম্যুনিস্টদের জন্ম থেকে চেনেন। কারণ তার জন্ম ত্রিপুরায়। তারপরই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেজরিবাল এবং কম্যুনিস্টদের মধ্যে কোন তফাত নেই। দুই-ই ধোঁকাবাজ। তা প্রমানিত হয়েছে গত পাঁচ বছরে। কেজরিবাল দিল্লিকে পিছিয়ে দিয়েছেন। শাহিননবাগ উপহার দিয়েছেন। দিয়েছেন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ।
কেন্দ্রীয় সরকারের বেসরকারীকরণের পক্ষে সওয়াল করেন বিপ্লব দেব। রেলে প্রাইভেটাইজেশন, এয়ার সেক্টরে প্রাইভেটাইজেশনকে যুগান্তকারী বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রতি ভোটারকে অন্তত দশটি পরিবারের ভোট যাতে বিজেপিতে পড়ে তা নিশ্চিত করার অহ্বান ছিল তার।
যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ৫৬ ইঞ্চি বুকের মালিক, দিল্লির মতো রাজ্যে কেজরীবাল মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন না। তার চিন্তা ভাবনা সব কম্যুনিস্টদের মতো। কম্যুনিস্টরা পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে। ত্রিপুরাতে ‘সত্তা’ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে। এখন ত্রিপুরার কম্যুনিস্টরা লেনিন-স্তালিন ছেড়ে গান্ধি পূজা করছেন। বিজেপি, ত্রিপুরাতে কম্যুনিস্ট পার্টি অফিস থেকে স্তালিনকে বের করে দিয়ে গান্ধিকে ঢুকিয়ে দিয়েছে।
দিল্লিতে প্রচুর ভোটার উত্তরপূর্বাঞ্চল থেকে যাওয়া। তাদেরকে কাছে টানতে বিজেপি এবার উত্তরপূর্ব ভারতের নেতাদের নিয়ে ছোট-মাঝারী সভা করাচ্ছে সেখানে।
আগরতলা, ত্রিপুরা