প্ৰথম খবর

চলে গেলেন কৃষ্ণা বসু

By Grand Master

February 22, 2020

চলে গেলেন কৃষ্ণা বসু। বয়স হয়েছিল ৮৯। আজ সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে কোলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তাঁর পাশে ছিলেন দুই পুত্র সুমন্ত্র বসু এবং সুগত বসু ।

কৃষ্ণা ছিলেন শিশির বসুর স্ত্রী । শিশির বসু , নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বড় ভাই শরৎ চন্দ্র বসুর ছেলে।

কৃষ্ণা বসু একদিকে ছিলেন শিক্ষাবিদ , সমাজ কর্মী এবং রাজনীতিবিদ। নিয়মিত লেখা লেখি করতেন। সক্রিয় ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক কাজেও। বছর পাঁচেক আগে একবার হার্ট এটাক হয়েছিল। সপ্তাহ খানেক আগে শারিরীক অসুবিধা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল থেকেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আজ সকালেই মারা গেলেন।

১৯৩০ এর ২৬ শে ডিসেম্বর ঢাকায় জন্ম কৃষ্ণা বসুর। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাশ করেন। একটানা ৪০ বছর শিক্ষকতা করেছেন সিটি কলেজে। একই কলেজে প্রিন্সিপালের দায়িত্বও পালন করেছেন আট বছরের জন্য। লিখেছেন একাধিক বই। নিয়মিত লিখতেন আনন্দবাজার , দ্য স্টেটসম্যান , ইলাস্ট্রেটেড উইকলিতে।

রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন কংগ্রেসের হয়ে। মমতা ব্যানার্জির সাথে সখ্যতা ছিল রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিন থেকেই । পরে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।১৯৯৬ সালে প্রথম লোকসভা নির্বাচনে জেতেন। যাদবপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে। হারিয়ে দিয়েছিলেন সি পি আই (এম)-এর মালিনী ভট্টাচার্য্য কে।

১৯৯৮ তে কৃষ্ণা তৃণমূলে। এবারও জিতলেন যাদবপুর থেকে।আবার হারালেন মালিনী ভট্টাচার্য্য কে।

১৯৯৯ এর লোকসভা নির্বাচনেও জিতলেন তিনি তৃণমূলের হয়ে। এবার হারালেন সি পি আই এম’র কান্তি গাঙ্গুলীকে।

২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণা বসু সিপিআই (এম) এর সুজন চক্রবর্তীর কাছে হেরে যান।

কৃষ্ণা বসুর কবি হিসেবেও পরিচিতি ছিল। লিখেছেন অনেক কবিতা। প্রকাশিত হয়েছে বেশ কয়েকটি কাব্য গ্রন্থ।

কৃষ্ণা বসুর মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন , “তৃণমূল কংগ্রেস তার মা’কে হারালো” এবং “তাঁর ভারতীয় সমাজ ও বাংলা সংস্কৃতিতে অবদান আগামীর প্রজন্ম সবসময় মনে রাখবে” ।