চলে গেলেন তাপস পাল। আজ ভোরে ৩.৩৫ মিনিটে তিনি মারা যান। বয়স হয়েছিল ৬১।
গত সতের দিন ধরে তিনি মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
তার শরীরের অবস্থা মোটেও ভাল ছিল না। ভেন্টিলেশনে ছিলেন বেশ কয়েকদিন। অবস্থার একটু উন্নতি হওয়ায় তাকে আই সি ইউ তে নিয়ে আসা হয়েছিল।
জানুয়ারি মাসে মুম্বাই যান মেয়ের সাথে আমেরিকা যাবেন বলে। প্লেনে উঠেই তিনি অসুস্থ্য হয়ে যান। সেখান থেকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।
গতকাল রাতে অবস্থার খুবই অবনতি হয় এবং একসময় রক্ত দেবার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। নিয়ে যাওয়া হয় আবার ভেন্টিলেশনে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে ৩.৩৫ মিনিট থেকেই তার শরীর চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
বাংলা সিনেমার খুবই জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন তিনি।
জীবনের প্রথম সিনেমা দাদার কীর্তি। তখন তার বয়স মাত্র ২১। পরিচালক তরুণ মজুমদারের হাত ধরেই চলচ্চিত্রে প্রবেশ।সাহেব , পারাবত প্রিয়া , ভালোবাসা ভালোবাসা , অনুরাগের ছোঁয়া তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা।
দেবশ্রী রায় এবং শতাব্দী রায়ের সাথে জুটি বেঁধে অনেক হিট বাংলা সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন।
১৯৮১ তে সাহেব সিনেমার জন্য ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পান। সবকিছু ছাপিয়ে গেছে তার জীবনের প্রথম সিনেমা দাদার কীর্তি। সময়টা ছিল ১৯৮০ । বাঙালি আজও সেই সিনেমা নিয়ে নস্টালজিয়ায় বুঁদ হয়ে থাকেন।
তিনি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ২০০৯,২০১৪ সালের নির্বাচনে যেতেন। একবার বিধানসভার সদস্য ছিলেন। দল তাকে আর মনোনীত করে নি।
রোজ ভ্যালি বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। সিবিআই তাকে গ্রেপ্তারও করেছিল। পরে জামিনে মুক্তি পান।
তার মেয়ে সোহিনীও অভিনেত্রী।