প্রতিটি রাজ্যেই একটি করে স্টেট ইলেকশন কমিশন থাকে । স্টেট ইলেকশন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা । এই ইলেকশন কমিশন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত । ত্রিপুরাতেও স্টেট ইলেকশন কমিশন আছে । গ্রাম পঞ্চায়েত , পঞ্চায়েত সমিতি , জেলা পরিষদ , ভিলেজ কমিটি , ত্রিপুরা স্বশাসিত এলাকা জেলা পরিষদ (টি টি এ এ ডি সি ) , নগর পঞ্চায়েত সহ অন্যান্য পৌর সংস্থার নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব ত্রিপুরা স্টেট ইলেকশন কমিশনের ।
আগামী ১৭ ই মে , ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের কার্যকাল শেষ হচ্ছে । এর আগেই টি টি এ এ ডি সি’র নির্বাচন করতে হবে। আইনের কথা এরকমই । রাজ্যের স্টেট ইলেকশন কমিশন ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে । ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোট কেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে। শুনানির পর ভোট কেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে মার্চ মাসের ৬ তারিখ ।
ত্রিপুরার স্টেট ইলেকশন কমিশনের একটি ওয়েবসাইট আছে । https://sec.tripura.gov.in/ এই ওয়েবসাইটটি ত্রিপুরা স্টেট ইলেকশন কমিশনের । এই ওয়েবসাইট থেকে তথ্য জানার ইচ্ছে থাকলে আক্কেল গুড়ুম হয়ে যেতে পারে ।
আসন্ন টি টি এ এ ডি সি নির্বাচন নিয়ে কোনও তথ্যই সেখানে নেই । ওয়েবসাইট ভিজিট করে সাম্প্রতিক তথ্য এটাই জানা যেতে পারে যে স্টেট ইলেকশন কমিশনের কমিশনারের নাম এম এল দে । তিনি একজন প্রাক্তন সরকারী আমলা । প্রাক্তন আই এ এস অফিসার । ওনার ছবিও আছে । টি টি এ এ ডি সি নির্বাচন সংক্রান্ত একটি বিভাগ আছে এই ওয়েবসাইটে । ওখানে ক্লিক করলে কোনও তথ্যই পাওয়া যাবে না ।
অবাক হতে হয় এই ওয়েবসাইটের প্রেস রিলিজ বিভাগে গেলে । সাম্প্রতিকতম প্রেস রিলিজটি ২০১৬ সালের । এরপর থেকে কি ত্রিপুরায় স্টেট ইলেকশন কমিশন কোনও নির্বাচন পরিচালনা করেনি ? ২০১৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উপ নির্বাচন এবং ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করেছে এই স্টেট ইলেকশন কমিশন । ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত কোন তথ্য নেই ।
‘অ্যাবাউট আজ’ – আমাদের সম্পর্কে জানুন , এই বিভাগে গেলে ত্রিপুরা স্টেট ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইট আপনাকে জানিয়ে দেবে এই পেইজটি ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ – এখনো তৈরি হয় নি । স্টেট ইলেকশন কমিশন সুত্রেই জানা গেল এই ওয়েবসাইট নাকি যাত্রা শুরু করেছে ২০১৫ সাল থেকে ।
আগামী দুই মাসের মধ্যে টি টি এ এ ডি সি’র নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে , স্টেট ইলেকশন কমিশন । জানা গেছে এখন পর্যন্ত এটাই ঠিক হয় নি ইভিএম নাকি ব্যালট পেপার কোন পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হবে ।
ভোট কেন্দ্রে ভোটের কারচুপি রুখতে ইভিএম’র বিকল্প কিছুই হতে পারে না । ইভিএম’এ এমন ব্যবস্থা আছে , বুথ দখল হলে সাথে সাথেই মেশিনে ভোট গ্রহনের পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়া যায় । ব্যালট বাক্সে এরকম কিছই করা সম্ভব না ।
গত দুইটি নির্বাচন ইভিএম এর মাধ্যমে করানোর পর আসন্ন টি টি এ এ ডি সি নির্বাচন ব্যালটের মাধ্যমে হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে । সঠিক সময়ে ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে কত সংখ্যক ইভিএম দরকার হবে সেই তথ্য স্টেট ইলেকশন কমিশন সম্ভবত জানায় নি ।
রাজ্যে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্টেট ইলেকশন কমিশন যতগুলো নির্বাচন পরিচালনা করেছে , সব ক্ষেত্রেই কমিশনের নিরপেক্ষতা এবং দক্ষতা নিয়ে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা ।