প্ৰথম খবর

দেড় বছরের শিশু নিয়ে ৯ জন, ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্তে আটক

By Master

February 10, 2020

ত্রিপুরার সিমনা এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ  সীমান্ত পেরিয়ে যেতে গিয়ে  ধরা পড়লেন নয়জন। তাদের মধ্যে দেড় বছরের ও সাত বছরের দু’টি শিশু, ও চৌদ্দ বছরের একটি কিশোরী রয়েছে।

নয়জন ধরা পড়েছেন  পশ্চিম ত্রিপুরার মোহনপুর মহকুমায়। দুপুরে  মতাই গ্রামের ঘটনা। এলাকার মানুষ তাদের আটকান। তাদের পাসপোর্ট , ভিসা ছিল না যেমন, তেমনি  মতাইয়ে কোনও ইমিগ্রেসন সেন্টারও নেই।

তাদের মধ্যে ছয়জনের ঠিকানা বাংলাদেশ। একজনের ভারতের  শিলচর। একজন কলকাতায় থাকেন। আর একজন সম্প্রতি পশ্চিম ত্রিপুরার শানমুড়াতে বাড়ি করেছেন।

 

মতাইয়ে  বর্ষার জল পারাপারে  আন্তর্জাতিক সীমানা ঘেঁসে একটি  বক্সকালভার্ট। তার ভেতর  দিয়েই  নয়জন ত্রিপুরায় ঢুকছিলেন। হামাগুড়ি দিয়ে। সীমান্ত এলাকার মানুষ দেখে ফেলেন। আটকে রাখে্ন। খবর দেন এলাকার আইপিএফটি বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মাকে। তিনি  যান।

পশ্চিম জেলার পুলিস সুপার,  এসডিপিও-কে  খবর দেন বিধায়ক। তিনি নিজেই জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার হবার জন্য জনপ্রতি দশ হাজার টাকা করে দিয়েছেন তারা। বাংলাদেশ এবং ভারত, দু’দিকের দালারাই এই টাকা নিয়েছে। তাদের সঙ্গে দুটি বাচ্চাও ছিল। বাকিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ। চারজন মহিলা।

সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ ঠিকভাবে কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিধায়ক।

গত কয়েকদিন ধরেই সিমনা দিয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশ হচ্ছে। এই ঘটনা দিল্লি পর্যন্ত জানানো হবে, বলেছেন বৃষকেতু।

ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ ডেপুটি কমান্ডেন্ট সুখদেব সিং-কে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে,  তিনি বলেছেন,  তিনি ঝাড়খণ্ডে, ছুটিতে। অন্য আধিকারিকরা বিষয়টি দেখছেন।

তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিধাই থানাতে। সিধাই থানার ওসি বিজয় সেন আগরতলায় একটি মিটিং-এ আছেন। তিনি ফোনে জানিয়েছেন, নয় বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্ত পার হবার সময় আটক হয়েছেন। তাদের আদালতে তোলা হবে।

বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা যখন আটক হওয়া মানুষদের  সাথে  কথা বলছিলেন, তারা বলেছেন,  এভাবে বক্সকালভার্টের নিচ দিয়ে আসায় তারা অসুস্থ বোধ করছেন।

শিলচরের বকুল দাস (৩০), বাংলাদেশের নেত্রকোনার পুতুল দাস (৭৫),রানিকা দাস (৭), সিলেট জেলার আনিল দাস (৭০), ত্রিপুরার শানমুড়ার বাসিন্দা রঞ্জন দাস (৪৪),  কক্সবাজারের সুস্মিতা দাস(২০), শিবা দাস, দেড় বছর বয়স। সুস্মিতার সন্তান, কক্সবাজারের রিমা দাস(১৪), আর মিনু দাস (৪৫), থাকেন কলকাতায়।

 

আগরতলা, ত্রিপুরা

 

আগরতলা-আখাউড়া রেল পথ তৈরি হচ্ছে