ফাঁসির শাস্তি দিল উদয়পুরের একটি জেলা আদালত। ধর্ষণ-খুন’র অভিযোগে। দুইজনকে, ভঞ্জয় ও কষ্টরাই ত্রিপুরা, মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। ঘটনা ২০১৮ সালের। উদয়পুর, ত্রিপুরার গোমতী জেলা সদর।
নাবালিকা ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গোমতী জেলার বিশেষ আদালত দু’জনকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। বিচারক, এ কে নাথ।
স্কুলের জন্য বেরিয়ে বাড়ি ফিরে আসেনি মেয়ে। বোনকে না পেয়ে বড় ভাই যান পুলিশের কাজে। বোনকে আর পাওয়া যায়নি, উঠে আসে মাটি চাপা দেয়া চৌদ্দ বছরের দেহ।
২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বরের ঘটনা। অপরাধীরাই দেহ বের করে দেন জঙ্গল থেকে। গোমতী জেলার বিশেষ আদালতে বিচার চলে, ৩২ জন সাক্ষী দেন।
গতকাল ভঞ্জয় ত্রিপুরা, এবং কষ্টরাই ত্রিপুরাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। ধর্ষণ, খুন’র ধারা ছাড়াও, পক্সো আইনে তাদের বিচার হয়েছে।
স্পেশাল পাব্লিক প্রসিকিউটর পল্টু দাস বলেছেন, ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের ৩০২ এবং ৩৭৬(এ) ধারায় তাদের ফাঁসির সাজা হয়েছে। অন্যান্য ধারায় বিভিন্ন মেয়াদের জেল, তারমধ্যে যাবজ্জীবনও আছে, জরিমানা হয়েছে। মেয়েটিকে অত্যাচারের পর, গাছের ডাল দিয়ে মারা হয়, তাতে মারা না যাওয়া, জলে চুবিয়ে খুন করা হয়েছিল।
কিছুদিন আগে একই ধরনের মামলায় উত্তর ত্রিপুরায় একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।গত বছর ২২ আগস্ট উত্তর জেলা আদালত সঞ্জয় তাঁতিকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল, সাত বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণ-খুন করার অপরাধে।
বেশ কয়েকবছর আগে পশ্চিম জেলা আদালতে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনে একজনের ফাঁসি হয়েছিল, তবে সেই আদেশ কার্যকর হয়নি।