দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছা অবসর অভিযান গেল ৩১ জানুয়ারি ২০২০। এক সঙ্গে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হল ৭৮ হাজারের বেশি বিএসএনএল কর্মীকে। এমটিএনএল থেকে স্বেচ্ছা অবসরে বাধ্য করা হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার কর্মীকে।
সব মিলিয়ে একদিনেই অবসরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে প্রায় ৯৪ হাজার কর্মীকে।
‘কানেক্টিং ইন্ডিয়ার’ বিজ্ঞাপনদাতা বিএসএনএল প্রায় জোর করেই সম্পর্ক ছাঁটল তার কর্মীদের সঙ্গে। সাড়া দেশের সঙ্গে ত্রিপুরা থেকেও অবসরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ১৪৯ জন কর্মীকে। যাদের মধ্যে ১৪ জন গ্রুপ ‘এ’ ক্যাটাগরির অফিসার এবং ১১ জন গ্রুপ ‘বি’ ক্যাটাগরির অফিসার রয়েছেন। ৩১ জানুয়ারি ২০২০’তে ত্রিপুরা থেকে স্বেচ্ছা অবসরে যাবার কথা ছিল ১৫০ জনের। তাদের মধ্যে একজন মারা যান স্বেচ্ছা অবসর প্রক্রিয়ার মাঝেই।
ত্রিপুরার বিএসএনএল অফিস সুত্রে জানাগেছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ত্রিপুরায় এই সংস্থার সঙ্গে কর্মী রয়েছেন ২৯৫ জন।
ত্রিপুরায় এখন বিএসএনএল মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ৪ লাখ ১৫ হাজার। তাছাড়া রয়েছে ল্যান্ড লাইন এবং আরও বেশ কিছু পরিষেবার গ্রাহক। সব মিলিয়ে ত্রিপুরায় বিএসএনএল গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সড়ে চার লাখ।
ত্রিপুরাতে বিএসএনএল তার কর্মী কমিয়েছে ৩৪ শতাংশ। এতে পরিষেবায় প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
৩১ জানুয়ারি যারা অবসরে গেছেন তাদের অনেকেই জানিয়েছেন, অবসরে যাবার দিন যে আর্থিক প্যাকেজ দেবার কথা ছিল তার কিছুই শুক্রবার তারা পান নি। আশ্বাস দেয়া হয়েছে ৩১ মার্চের মধ্যে মিটিয়ে দেবার।
আগরতলা, ত্রিপুরা