পাচারকারীদের ধাওয়া করছিল বিএসএফ। সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েন বাংলাদেশে। সেখানে এক বাড়িতে খুঁজতে যায় পাচারকারীদের। তখনই বাংলাদেশের মানুষ তাদের ঘিরে ধরে। তিন জওয়ানকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও পাঁচজন সেখানে আটকা পড়ে। বেশ কয়েক ঘণ্টা ঐ দেশের মানুষের হাতেই বন্দী থাকে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আট জন। বিকালে দুপক্ষের ফ্ল্যাগ মিটিং-এর পর ছাড়া পান তারা।
ঘটনা আজ সকালের। সোনামুড়ার রহিমপুর কাটামুরা বিওপি এলাকায়।
বিএসএফের ১৭৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা রহিমপুর সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। সকাল আটটা নাগাদ কয়েকজন পাচারকারীকে তারা দেখেন কিছু নিয়ে বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছে। তাদের পিছু ধাওয়া করেন জওয়ানরা। আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে তারা ঢুকে পরেন বাংলাদেশে। ওপাড়ে নারায়নপুর গ্রামের বসাক আলির বাড়িতে যান তারা। ঐ বাড়িতেই ঢুকেছিল পাচারকারীরা। সেখানে বিএসএফ জওয়ানরা গেলে তাদের আটকে রাখেন গ্রামের লোকজন।
খবর পেয়ে বিওপি থেকে আরও পাঁচজন ঐ গ্রামে যান। তাদেরও আটকে রাখা হয়।
খবর জানানো হয় বিজেবিকে। এবং বাংলাদেশের পুলিশকে। তারা জওয়ানদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
বিকাল তিনটা নাগাদ রহিমপুর সীমান্তেই হয় ফ্ল্যাগ মিটিং। ফ্ল্যাগ মিটিং-এর পর বিএসএফের আট জওয়ানকে ছাড়া পান।
সোনামুড়ার এসডিএম সুব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, ফ্ল্যাগ মিটিং-এর পর আট বিএসএফ জওয়ান ফিরে এসেছে।
২০০৫ সালে ত্রিপুরার লঙ্কামুড়া সিমান্তের ওপাড়ে বিএসএফ-এর এসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট জীবন কুমারকে পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়।
আগরতলা, ত্রিপুরা