প্ৰথম খবর

বছরের দুই মাসে উত্তর পূর্বাঞ্চল কেঁপে উঠল ১২ বার

By Grand Master

February 24, 2020

বার বারই কেঁপে উঠছে উত্তর পূর্বাঞ্চল । এই বছরের প্রথম দিনেই কেঁপে উঠেছিল আসাম। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৩.৫ । এ বছর ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ পর্যন্ত উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের মধ্যে পাঁচটি রাজ্য বেশ কয়েকবার কেঁপে উঠেছে । ২০২০ সালের প্রথম ৫৫ দিনের মধ্যে ভারতের এই অঞ্চলে ভুমিকম্প হয়েছে বার টি । গড়ে প্রতি পাঁচ দিনে প্রায় একবার ভুমিকম্প হচ্ছে।

ঘটনাচক্রে ২০১৯ এর বছরের শেষ দিনও কেঁপে উঠেছিল এই অঞ্চল । ২০১৯ এর ৩১শে জানুয়ারি ভুমিকম্প হয়েছিল আসামে। তীব্রতা ছিল ২.৯ ।

এ বছরের জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে আজকের দিন পর্যন্ত সবথেকে বেশি ভুমিকম্প হয়েছে আসামে । আসাম কেঁপে উঠেছে চার বার । এর পরেই রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ । তিনবার ভুমিকম্প হয়েছে অরুনাচলে। নাগাল্যান্ড এবং মণিপুর কেঁপে উঠেছে দুইবার করে । মেঘালয় একবার ।

প্রথম ৫৫ দিনে উত্তর পূর্বাঞ্চলে সবথেকে বেশি তীব্রতার ভুমিকম্প হয়েছে অরুণাচল প্রদেশে। ফেব্রুয়ারির এক তারিখ , ভোর ৩ টা ১৫ মিনিটে কেঁপে উঠেছিল অরুণাচলের দিবাং উপত্যকা । এর আট দিন পরেই কেঁপে উঠেছে আসামের বঙ্গাইগাঁও । তীব্রতা ছিল ৫।

এ বছরের জানুয়ারি মাসে ভুমিকম্প হয়েছে ছয়টি । ফেব্রুয়ারিতেও ছয়টি ।

উত্তর পূর্বাঞ্চল ভুমিকম্প প্রবন এলাকায় অবস্থিত । ত্রিপুরা রয়েছে ভুমিকম্প প্রবন এলাকার জোন – পাঁচ এ ।

ত্রিপুরার রাজস্ব দপ্তরের বিপর্যয় মোকাবেলা শাখার আধিকারিকদের বক্তব্য এই অঞ্চল ভুমিকম্প প্রবন হওয়াতেই প্রায়ই ভুমিকম্প হচ্ছে । এতে আলাদা ভাবে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই । অবশ্য ভূমিকম্পের জন্য সুনির্দিষ্ট ভাবে আগাম সতর্ক বার্তা দেওয়াও প্রায় অসম্ভব ।

ত্রিপুরায় ভুমিকম্প সংক্রান্ত বিপর্যয় মোকাবেলার জন্য এন ডি আর এফ’র একটি বাহিনী মোতায়েন আছে। টি এস আর জওয়ানরাও বিপর্যয় মোকাবেলায় বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ।

ত্রিপুরা সরকারের রাজস্ব দপ্তরের বিপর্যয় মোকাবেলা সংক্রান্ত একজন আধিকারিকের মতে ভুমিকম্প হলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যতটুকু সাবধানতা অনুসরন করা যায় সেটাই প্রধান বিষয়।

সারা দেশেই শহরাঞ্চলে নির্মিত দালান বাড়ি ভুমিকম্প নিরোধক না । ভূমিকম্পের মত বিপর্যয় হলে উদ্ধারের বিষয়টিই সবথেকে প্রাধান্য পায় ।

এইরকম অবস্থায় টেলিফোন , মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভাবেই বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে । এই ক্ষেত্রে সবথেকে কার্যকরী হতে পারে ‘হাম’ রেডিও । হাম রেডিও’র প্রসারে ত্রিপুরা অনেকটাই পিছিয়ে আছে বলে জানা গেল ।