দিল্লিতে দাঙ্গার পেছনে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার উস্কানিমূলক মন্তব্য দায়ী।
বিভিন্ন সময়ে বিজেপি নেতারা এমন কিছু মন্তব্য করেছেন করেছেন যার ফলে হিংসার পরিবেশ ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে । এই বিজেপি নেতাদের মধ্যে আছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, কপিল মিশ্র এবং পরভেশ ভার্মা।
দাঙ্গার প্রথম দিনই পুলিশের একজন উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের উপস্থিতিতিতে কপিল মিশ্র এমন কিছু আপত্তিজনক বক্তব্য রেখেছেন যা বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচিত হয়েছে।
এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে সমাজকর্মী হর্ষ মন্দার দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন ।
তিনি দাবি জানিয়েছেন যাতে এই বিজেপি নেতাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হয় । তার মতে এই তিনজন নেতা এতটাই নিম্নরুচির এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন যার ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা ক্রমশ বেড়েই গেছে।
এখন পর্যন্ত দিল্লিতে সি এ এ বিরোধী এবং সি এ এ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা ৩৪ । আহত হয়েছেন সরকারিভাবে ২০০ জন । বেসরকারি মতে আহতদের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে ।
হর্ষ মন্দারের মতে এই বিজেপি নেতাদের বক্তব্য এবং ভাষণ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এখনও ছড়ানো হচ্ছে । সরকারের উচিৎ এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া ।
মানুষকে এভাবে বিভ্রান্ত করে দাঙ্গা ছড়ানোর জন্য অবিলম্বে এই নেতাদের বিরুদ্ধে এফ আই আর দাখিল করে তাদের গ্রেপ্তার করা উচিত।
আদালতের কাছে মান্দারের আবেদন , সরকারকে যাতে উপযুক্ত নির্দেশ দেওয়া হয় ।
আজ দিল্লি হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি ডি এন প্যাটেল এবং বিচারপতি সি হরি শংকর কে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারকে এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত সময় ধার্য করেছে হর্ষ মান্দারের অভিযোগের ওপর কাউন্টার এফিডেভিট দাখিল করার জন্য ।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আজ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে উপস্থিত হয়ে বলেন যে এখন এফআইআর দাখিল করার সময় নয় । সব কিছু বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেবার যথেষ্ট সময় আছে । সবগুলো ভিডিও , তথ্যপ্রমাণ ইত্যাদি ভালোভাবে পর্যালোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সরকার তাড়াহুড়ো করে এখন কোনও সিদ্ধান্ত নিলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে ।