খেলা ও কথা

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কি জয়ী হচ্ছে বাংলাদেশ?

By Grand Master

February 09, 2020

হোক উনিশ বছরের কম বয়সীদের বিশ্বকাপ ক্রিকেট । ফাইনালে উঠে ইতিহাস রচনা আগেই হয়ে গিয়েছে । এবার অপেক্ষা বিশ্বকাপ জয়ের। হাতছানি টাইগারদের সামনে । দরকার ১৭৮ রান। করতে হবে ৩০০ বলে। জয়ের জন্য দরকার ওভার প্রতি চার রানেরও কম।

টসের সময়েই বাংলাদেশ অধিনায়ক যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেছিলেন আমাদের দলে আছেন তিনজন পেসার। তার কথা রেখেছেন বোলাররা।

ভারতকে একটি একটি রান লড়াই করে তুলতে হয়েছে। জয়সওয়াল বাদ দিয়ে কোনও ব্যাটসম্যানই স্বাভাবিক ব্যাটিং ছন্দে ছিলেন না। এটাও বোঝা গেছে ফাইনাল ম্যাচের চাপ নেওয়ার প্রশ্নেও ভারতের ছোটরা ছিল বিব্রত।শরীরী ভাষাতেও যেন পিছিয়ে ছিলেন প্রতিপক্ষ থেকে।

ভারতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রানিং বিটুইন দ্য উইকেটেও ছিল বোঝা পড়ার অভাব। আগের দিন রাতে বৃষ্টির জন্য পিচ ছিল কিছুটা পেস সহায়ক। পিচের প্রাথমিক অবস্থাকে প্রথম ওভার থেকেই কাজে লাগিয়ে গেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। উইকেট আগলে রাখলে খুচরো রান নিয়ে স্কোর বোর্ডকে সচল রাখতে হয়। এই কাজে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা আজ চূড়ান্ত ব্যর্থ।

ভারতীয় ইনিংসের সপ্তম ওভারেই প্রথম উইকেটের পতন হয়। অভিষেক দাসের পেস বুঝতে পারেন নি সাক্সেনা। পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ২ রান করে ।দলের রান ৯ । দশ ওভার শেষে ভারতের রান ওঠে ২৩।

অষ্টম ওভারের পর দলের পরবর্তী বাউন্ডারি আসে একাদশ ওভারে। রান কোনভাবেই উঠছিল না। ভাল বোলিং এর পাশাপাশি প্রশংসা করতে হয় বাংলাদেশের অসাধারণ গ্রাউন্ড ফিল্ডিংও। তের ওভার শেষে রান ওঠে ৩৬।

১৭তম ওভারে দলের ৫০ রান পূর্ন হয়। ২০ তম ওভার শেষে দলের রান ছিল ৬৩। ৮৯ বল খেলে একদিকে যশস্বী নিজের ৫০ রান করে নিয়েছিলেন। ২৯ তম ওভারে দলের ১০০ রান পুর্ণ হয়।। তখনও হাতে আছে নয়টি উইকেট।

তিলক বর্মা হাত খুলে মারতে শুরু করেছিলেন।৩৮ রান করে আউট হন। তিনটি চার ছিল তার ইনিংসে । তানজিমের বলে বাউন্ডারী লাইনে অসাধারণ ক্যাচ ধরেন সরিফুল।

অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ ব্যাট হাতে ব্যর্থ। ৯ বলে ৭ রান করে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।

৩৯ তম ওভারে দলের ১৫০ রান পূরণ হয়। নিজের ৮৮ রানে ফিরে যান যশস্বী। মিড উইকেটে সরিফুলের বলে ধরা পড়েন তানজিদের হাতে।তার ইনিংস সাজানো ছিল আট টি ৪ এবং একটি ওভার বাউন্ডারি সহ।এর পরের বলেই শূন্য রানে আউট হয়ে গেলেন সিদ্ধেশ বীর। শরিফুল এর নিচু ফুলটস সরাসরি এসে প্যাডে লাগে।

একদিকে দলের সহ অধিনায়ক ধ্রুব জুরেল ছিলেন। উইকেটে থেকে ওই সময়ে রানের গতি বাড়াতে কিছুটা সচেষ্টও হয়েছিলেন। অথর্ব অঙ্গলেকরের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে নিজের ২২ রানে রান আউট হয়ে ফিরে গেলেন। আবার রান আউট । এবার রবি বিশ্নই ফিরে গেলেন ২ রানে । আগের ম্যাচে গুলিতে ভাল ব্যাট করা অথর্ব অঙ্গলেকর ও বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেন নি । ৩ রান করে অভিষেক দাসের বলে বোল্ড হন অথর্ব।দলের রান ৮ উইকেটে ১৭০। দলের স্কোরে ২ রান যোগ হতেই আউট হন কার্তিক ত্যাগী।

৪৮ তম ওভারে ভারতের শেষ উইকেটের পতন । আউট হন সুশান্ত, ৩ রান করে। পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারে নি ভারত । ৪৭.২ ওভারে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ভারতের রান ১৭৭ ।

বাংলাদেশের সফল বোলাররা বলেন সরিফুল (১০-১-৩১-২) , তানজিম (৮.২- ২-২৮-২) , অভিষেক দাস ( ৯-০-৪০-৩) এবং ,রাকিবুল ( ১০-১-২৯-১)।

ভারতকে ২০০’র কম রানে বেঁধে রেখে অনেকটা এডভেন্টেজ নিয়েই যে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামছে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।