আপের পরবর্তি লক্ষ জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা। দিল্লী বিধানসভায় জয়ের পর জাতীয় রাজনীতিতে শক্তি হয়ে উঠতে চাইছে আপ।
কেনই বা এই ইচ্ছে হবে না ?
এবারের দিল্লী বিধানসভা নির্বাচন ছিল সরাসরি আপ ভার্সেস মোদি-শাহ। প্রধানমন্ত্রী তো ছিলেনই। বিজেপি’র প্রচারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। হিন্দু জাতীয়তাবাদ , শাহীন বাগ বিরোধী প্রচার , ৩৭০ ধারা বিলোপের সুফল , নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সব কিছুর ককটেলেই বিজেপি নিজেদের প্রচার সাজিয়েছিল।
আপ কখনো বিজেপি বিরোধিতার পথে পা বাড়ায় নি। আপের বক্তব্য ছিল সরাসরি নিজেদের পাঁচ বছরের সাফল্যকে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া।
ফলাফল এটাই বলছে আপের স্ট্র্যাটেজি সফল। মোদি -শাহের প্রচারের সব দাওয়াই মুখ ধুবড়ে পড়েছে।
তৃতীয়বারের মত কেজরিওয়াল দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আগামী রোববার শপথ নিতে যাচ্ছেন ।
তৃতীয় বারের মতই দিল্লী বিধসনসভা আপের দখলে। সারা দেশের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
গুটি গুটি পায়ে প্রাক্তন আইআরএস অফিসার কেজরিওয়াল নিজের রাজনৈতিক বিচক্ষনতাও প্রমান করছেন।
দিল্লীর সাফল্য আপকে সারাদেশেই নিজেদের অন্যতম বিরোধী মুখ হিসেবে তুলে ধরতে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। আপের দিল্লী আহবায়ক গোপাল রাই এই বক্তব্যই রাখলেন।
আপ আগামী দিনের জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে । সারা দেশের বিরোধী রাজনৈতিক মুখ হবার থেকেও বড় বিষয় পজিটিভ জাতীয়তাবাদের প্রচার। এই ক্ষেত্রকে বিজেপি সারা দেশেই নষ্ট করে দিয়েছে। দিল্লীতেও তাই চাইছিল । পারে নি। দিল্লীর মানুষ উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন। যদি দিল্লীর মানুষ বুঝতে পারেন সারা দেশের মানুষ কেন বুঝবেন না । তবে এর জন্য দরকার মানুষের মৌলিক সমস্যা গুলো সমাধানের প্রতি উদ্যোগ নেওয়া। আপের আদর্শ এটাই। বক্তব্য রাই’র।
দিল্লীতেও আরও কাজ বাকি বলে মনে করে আপ। দিল্লী মিউনিসিপ্যালটির ক্ষমতায় নেই দল। রাজনৈতিক ভাবে আপের পরবর্তি লক্ষ এম সি ডি দখল । রাই জানালেন।
সারা দেশে ভলান্টিয়ার নিয়োগের মাধ্যমেই আপ অন্যান্য রাজ্যের সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চাইছে। এই উদ্দেশ্যে একটি মিস কল ফোন নাম্বার , ৯৮৭১০১০১০১ চালু করেছে কেজরিওয়ালের দল। এভাবে অনেকেই , বিভিন্ন রাজ্য থেকে নাকি মিস কল দিয়ে আপের ভলান্টিয়ার হতে চাইছেন। দলের দাবি এমনই। এভাবে বিভিন্ন রাজ্যে ভলান্টিয়ারদের নিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন গুলোতে প্রাথমিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করার পরিকল্পন আপের।