‘যথেষ্ট খারাপ’। দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র ফলাফলকে এমনটাই বলা যায়। দলের শীর্ষ নেতৃত্বও তাই মনে করছেন।
দলের ফলাফল পর্যালোচনার জন্য সভা ডেকেছেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা।
আজ বিকেল পাঁচটায় সভা। থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও। দলের সাধারণ সম্পাদকরাও উপস্থিত থাকবেন।
দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র প্রচার ছিল খুবই আগ্রাসী।
দলের প্রায় সব শীর্ষ নেতারাই প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তো ছিলেনই। প্রচারের প্রধান মুখ ছিলেন অমিত শাহ।
একুশ দিনের ঝড়ো প্রচারে ভোটারদের প্রভাবিত করতে একদিকে হিন্দুত্ব কার্ড যেমন খেলতে দেখা গেছে বিজেপি’কে তেমনি কোন কোন ক্ষেত্রে বিতর্কিত মন্তব্যও করে গেছেন শীর্ষ নেতারা। চোখ রাঙানিও খেতে হয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে।
কোন কোন বিজেপি নেতার প্রচারে অংশ গ্রহণও নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকায় ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও।
বিজেপি প্রচারে তুলে ধরেছিল শাহিনবাগ ইস্যু। এসেছে ৩৭০ ধরা বিলোপের সাফল্য কথা।নতুন নাগরিকত্ব আইন , রামমন্দির , আপের বিরুদ্ধাচারণ কোন কিছুই সামগ্রিক ভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে নি। আটটি আসনে জয় নিয়েই দলকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
দলের সভাপতি নাড্ডা পরাজয়কে মেনে নিয়ে জানিয়েছেন , বিধানসভায় বিজেপি গঠনমূলক বিরোধী পক্ষ হিসাবেই কাজ করবে। দিল্লীর উন্নয়নের প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলোকে বিধানসভায় উত্থাপন করবে তার দল। দাবি করেছেন নাড্ডা।
ধারণা করা হচ্ছে দিল্লীর ভোটাররা কেন বিজেপি’র ইস্যু গুলো থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিল এই বিষয়টি আজকের সভায় আলোচিত হবে।