স্বরোজগারীদের উৎসাহ দিতে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু করেছে। যার মধ্য দিয়ে সহজেই উদ্যোগীরা শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি কাগজপ্ত্র পেয়ে যাবেন। এক মাসের মধ্যেই। কোন আধিকারিক সেই সব কাগজ দিতে দেরি করলে তার বেতন থেকে টাকা কাটা হবে। বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
তিনি শুক্রবার কুমারঘাটে বিশেষ হস্ততাঁত বস্ত্র মেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন।
সেখানে তিনি দাবি করেন এই ব্যবস্থা আগে ত্রিপুরায় ছিল না। ত্রিপুরার যুবকদের স্বরোজগারী হবার কোন ইচ্ছাই ছিল না। কোনভাবে একটি সরকারি কাজ জোটাবার মোহ ছিল তাদের। এ ব্যবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইছে রাজ্যের যুবকরা। আগে শিল্প বা নিজের উদ্যোগে কোনকিছু স্থাপন করতে গেলে তাদের মেলারমাঠ থেকে পারমিশন নিতে হত।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন তার সরকার সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে। কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশনের স্কেল দেয়া হয়েছে। অন্য সুযোগও দেয়া হবে। অনিয়মিতদের নিয়মিতও করা হবে। সামাজিক ভাতা ২০০০ টাকাও করে দেবে সরকার। শুধু পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা এলেই, সব হবে।
২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা। উনকোটি জেলা ভিত্তিক এই মেলা চলেছে কুমারঘাটের পাবিয়াছড়া দ্বাদশশ্রেণী বিদ্যালয়ের মাঠে । ভারত সরকারের বস্ত্রমন্ত্রকের আর্থিক সহায়তায় এবং ত্রিপুরা হস্ততাঁত ও হস্তকারু উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায়।
শুক্রবার কৈলাসহরে কৃমিনাশক দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।সেখান থেকে ফেরার পথেই মুখ্যমন্ত্রীর মেলা পরিদর্শন।
মুখ্যমন্ত্রী গত বছর পুলওয়ামায় নিহত জাওয়ানদের শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে সম্মান জানান।
ত্রিপুরা এবং বাইরের রাজ্য থেকে হস্ততাঁত এবং হস্ত কারু শিল্পের সামগ্রী নিয়ে ৪৫ টি স্টল বসেছে মেলায়।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়, বিধায়ক ভগবান দাস এবং সুধাংশু দাস, ত্রিপুরা হস্ততাঁত ও হস্তকারু উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান বলাই গোস্বামী সহ অন্যান্যরা।
আগরতলা, ত্রিপুরা