দেশের রাজধানীর পর এবার উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মেঘালয়ের ছড়িয়ে পড়লো হিংসা। গতকাল থেকেই হিংসা ছড়াচ্ছে শিলং এ । জারি হয়েছে কারফিউ। ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।মারা গেছেন একজন । আহতের সংখ্যা ২৫। ঘটনা গতকালকের।
জানা গেছে গতকাল দুপুরে খাসি ছাত্র সংগঠন , কে এস ইউ’র এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সি এ এ বিরোধী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । দিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ইনার লাইন পারমিটের পক্ষে । এই দুই দাবিতে আগামী দিনে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ।
সভার পরেই কে এস ইউ এবং অ-জনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় । দোকানপাট ভাঙা শুরু হয় । অনেক গাড়ি , বাইক ভাঙা হয় । বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হয় ।একটি খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয় সংঘর্ষকারীরা। আগুন ছড়াতে থাকে ।
এর মধ্যেই মারাত্মক ভাবে আহত হন ট্যাক্সি চালক লুরসাই। হাসপাতালে নিয়ে যাবার সময়েই তিনি মারা যান । তিনি কয়েকজন কেএসইউ সদস্যকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে যাচ্ছিলেন ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে একজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন । দুই পক্ষের কম করেও ২৫ জন আহত হন।
মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় শান্তি বজায় রাখতে সবার কাছে আবেদন করেছেন । গুজব না ছড়াতে এবং গুজবে কান না দিতে তিনি আবেদন রাখেন ।
কে এস ইউ’র সভাপতি এল মারঙ্গার জানিয়েছেন সভা শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয়েছিল । বহিরাগতরা এসে কে এস ইউ সদস্যদের আক্রমণ করাতেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে ।
পূর্ব খাসি হিলের জেলা শাসক কারফিউ জারি করেছেন । দুই দিনের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবস্থাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।