স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছিল কিছুদিন আগে। হয়তো বিচ্ছেদ মানতে পারেনি যুবক। আজ সকালে মিলল তার ঝুলন্ত দেহ।
নির্মাণ চলছে সাব্রুমে কোর্টের নতুন ভবনের। আজ সকালে সেই নির্মীয়মাণ ভবনের ভেতর মিলল এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ। যুবকের নাম সুলভ সরকার। বয়স ২৩। সে ঐ নির্মাণকাজে ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে ছিল।
কোর্ট ভবন নির্মাণের কাজ চলছে ত্রিপুরায় সাব্রুমের অফিসটিলায়।
আজ সকালে কাজের জন্য শ্রমিকরা প্রস্তুত হন। প্রতিদিনের মতন শ্রমিকরা ইঞ্জিনীয়ারকে ডাক্তে ভেতরে যান। দেখতে পান সুলভের দেহ ঝুলছে ভেতরে। শ্রমিকরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। সাথে সাথে তাদের মালিককে ফোনে জানায় বিষয়টি। আসে পুলিসও।
সুলভ সরকারের বাড়ী বিলোনিয়ার উওর ভারতচন্দ্র নগরে। দুইমাস আগে সে এই কোর্ট ভবন নির্মাণের কাজে যোগ দেন। ঠিকেদারের ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে সে কাজের দেখাশোনা করত।
পুলিশ থেকে জানাগেছে, সুলভ সরকার আত্মহত্যা করার আগে নিজের হাতে কাগজে দুই পাতা সুইসাইড নোট লিখে যান। কিন্তু তাতে কি লেখা রয়েছে তা পুলিস জানায় নি।
সুলভের পরিবার থেকে জানাগেছে, বিলোনীয়ার বনকর ঘাটের এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত প্রেম ছিলো তার। দুজনে মিলে উদয়পুর মাতার বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করে। কোর্ট ম্যারেজ করে ২০১৭-তে। তাদের এই বিয়ে নিয়ে দুই পরিবার মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। কেউ মানতে রাজি ছিল না এই বিয়ে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়।
কিছুদিন আগে ডিভোর্স হয় সুলভ এবং তার স্ত্রীর মধ্যে।
এদিন সকাল থেকে সাব্রুম কোর্ট চত্বর থেকে শুরু করে সাব্রুম শহরে এই মৃত্যু বিস্তর জল্পনা চলেছে।
মৃতদেহ রাখা আছে সাব্রুম হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য।
আগরতলা, ত্রিপুরা