ত্রিপুরার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র জিবিপি হাসপাতলের দুই ডাক্তারকে বরখাস্ত করা হয়েছে এক উকিলের মৃত্যুর ঘটনায়। একজন সাময়িক, একজন চুক্তির চাকরি থেকে বাতিল, বলেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা শুভাশিস দেববর্মা।
আইনজীবী ভাস্কর দেবরায় ৭ মার্চ ভোররাতে এই হাসপাতালে মারা গেছেন। চিকিৎসা পাননি বলে অভিযোগ। আইনজীবীরা হাইকোর্টে নালিশ জানিয়েছেন, নালিশ জানিয়েছেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতেও।
ডাক্তার দেবাশিস পাল সাময়িক বরখাস্ত, এবং ডাক্তার রোনিত দাস-কে দায়িত্ব বরখাস্ত হয়েছেন। ৬ মার্চ রাতে ডাঃ দেবাশিস পাল জিবি হসপিটালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ইনচার্জ ছিলেন এবং ডাঃ রোনিত দাস ছিলেন এমারজেন্সি বিভাগের দায়িত্বে। ডাক্তার রোনিত মাত্রই এবিবিএস পাশ করে জুনিয়র রেসিডেন্ট হয়ে কাজ করছিলেন। ডাঃ দেবাশিস ফিজিওলজিতে এমডি।
ভাস্কর দেবরায়ের মৃত্যুর পর সরকার চার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে একটি টিম গঠন করেছিল ‘ডেথ অডিট’ করার জন্য।
তবে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ভাস্করের বাড়িতে গিয়ে বলেছিলেন ডাক্তারদের রিপোর্টে তিনি সন্তুষ্ট না। তাই ম্যজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা পড়ার কথা। সেই হিসেবে ৭২ ঘন্টা প্রায় হয়ে এসেছে, রিপোর্ট জমা পড়েছে কিনা, জানা যায়নি এখনও।
হাইকোর্টে মামলাটির শুনানির দ্বিতীয় দিনে আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, রাতের জিবিপি হাসপাতালে কোনও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকেন না। পাঁচটার পরে আর নেই। হাসপাতাল চলে পিজি ছাত্র দিয়ে। পিজি ছাত্রের সাথে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তুলনা চলে না। তারা শুধু ভাস্করের মৃত্যুর ন্যায় বিচারই চান না, ভবিষ্যতে যেন এমন না হয়, হাইকোর্টে তাদের করা জনস্বার্থ মামলায় আবেদন রাখা হয়েছে। এই মামলার কারণে সরকারকে হাইকোর্টে ভাস্কর দেবরায়ের ময়না তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হয়েছে। আদালতকে ২৩ মার্চ জানাতে হবে সরকার কী করছে, এ নিয়ে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পুলিশ এফআইআর নিয়েছে বলে জানিয়েছে, বলেছেন ত্রিপুরা বার এসোসিয়েসনের সেক্রেটারি কৌশিক ইন্দু।
পুলিশে অভিযোগ জানাতে গিয়েও আইনজীবীরা নাকাল হয়েছেন। গেছেন আদালতে। আগরতলায় তাদের রাস্তায়ও নামতে হয়েছে বিচার চেয়ে।
আগরতলা, ত্রিপুরা