৩১ মার্চ শেষ হচ্ছে চুক্তির মেয়াদ। তারপর হয়ত তারা আর শিক্ষক নন। ত্রিপুরায় হাজার হাজার এমন শিক্ষক। তারা ১০৩২৩ নামে পরিচিত। চাকরির নিশ্চয়তার জন্য রাস্তায় গণ অবস্থানে তারা এখন। সেখান থেকে ফোনে কথা বলেছেন ১০৩২৩ শিক্ষক-নেতা জাকির হোসেন, দ্য প্লুরাল কলাম’র তন্ময়’র সাথে।
করোনা ভাইরাস আতঙ্ক এখন সারা পৃথিবীতে। হু হু করে ছড়াচ্ছে দেশ থেকে দেশে। মারা গেছেন ছয় হাজারের বেশি মানুষ, আক্রান্ত লক্ষ লক্ষ। যদিও ভারতে তেমন সাংঘাতিক কিছু নয়,ত্রিপুরায় এখনও কিছুই নয়।
করোনা ভাইরাস আতঙ্কের সাথে নিজেদের অবস্থা মিলিয়ে হোসেন বলেছেন, “আমরা যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আছি , এটা তো করোনা থেকেও ডেঞ্জারাস।”
ফোন-কথা থেকেঃ
“এই ভাইরাসের আগে যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল ১০৩২৩ র লোক । আমরা যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আছি , এটা তো করোনা থেকেও ডেঞ্জারাস। এতে সরাসরি লোক মারা যাবে। ওটাকে তো ( করোনা) প্রতিরোধ করার জন্য বিজ্ঞানীরা উঠে-পড়ে লেগেছেন,মেডিক্যাল সায়েন্স উঠে-পড়ে লেগেছে, কিন্তু আমাদেরটা সমাধান করার জন্য সরকারের কাছে এখন সুযোগ আছে,তারা কেন উঠে-পড়ে লাগছেন না! আমাদের প্রশ্নটা এই জায়গায়, তারা একটু এসে আমাদের সাথে আলোচনা করুন না ।নিশ্চয়ই আমরা সহযোগিতা করব। আলোচনা করলে, কথা পজিটিভ হলে আমরা কেন মানব না, আমরা শিক্ষক, আমরা কেন মানব না !
আমরা যে ভাইরাসে আক্রান্ত , তার ভ্যাকসিন আছে ওদের কাছে, ট্রিট্মেন্ট আছে, তের হাজার পোস্টের নিষেধ তুলে দিয়েছে কোর্ট। শিক্ষা দফতরের প্রধান বলেছেন, দফতর প্রস্তুত , ওপর থেকে নির্দেশ আসলেই, একদিনে করে দিতে পারবে।”
সরকারকে অনুরোধ তিনি করেছেন , তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করতে।
দু’দিন আন্দোলনের পেরিয়ে গেলেও সরকারি প্রতিনিধি আসেননি কথা বলতে। তারা ভেবেছিলেন , শান্তিপূর্ণভাবে এই দু’দিনেই এটি শেষ হবে।
আগরতলার ওরিয়েন্ট চৌমোহনীতে ১০৩২৩-র একটি অংশ গণ অবস্থানে আছেন। ১৪-১৫ মার্চ , দু’দিন করার ঘোষণা ছিল। গতকাল তারা এটি অনির্দিষ্ট দিনের জন্য করার ঘোষণা দিয়েছেন।
১৭ মার্চ এই শিক্ষকদের আরেকটি অংশ ধর্নায় বসবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
ত্রিপুরায় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ মাস গেদারিং/পাব্লিক মিটিং’ বন্ধ করার জন্য জেলা শাসকদের বলেছেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি।