উত্তরপূর্বাঞ্চলে প্রথম। ত্রিপুরায় উপজাতি স্বশাসিত এলাকায় চালু হল স্মার্টক্লাস এবং হ্যাপিনেস ক্লাস। খুমুলুঙের খুমপুই একাদেমিতে উদ্বোধন হয়েছে এই প্রকল্পের। উদ্বোধন করেন এডিসির মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক রাধাচরণ দেববর্মা। ছেলেমেয়েদের দেয়া হয়েছে ট্যাবলেট। ত্রিপুরার কুড়িটি স্কুলে স্মার্ট ক্লাস এবং হ্যাপিনেস ক্লাস করছে এডিসি । সবগুলি স্কুলই ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকায়। এ মাসেই শুরু হয়েছে স্মার্ট ক্লাস। সেই সঙ্গে হয়েছে হ্যাপিনেস ক্লাসও। বেশিরভাগই এডিসি এলাকার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। কিছু বাংলা মাধ্যম স্কুলও রয়েছে। ২০২০-২১ সালের এডিসির বাজেটেই প্রস্তাব ছিল স্মার্টক্লাস শুরু করার ব্যপারে। বাজেট পেশ করার দুমাসের মধ্যে তার বাস্তবায়নে হাত দিয়েছে প্রশাসন। গোটা বিষয়টি তিনটি ভাগে ভাগ করা আছে। স্মার্ট ক্লাস। ডিজিট্যাল ক্লাস এবং হ্যাপিনেস ক্লাস। স্মার্ট ক্লাস হবে পাওয়ার পয়েন্ট এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশুদের শেখাবেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। যে কুড়িটি স্কুলে স্মার্ট ক্লাস হবে সেখানে ইন্টারনেট ফ্যাসিলিটি দেয়া হচ্ছে। ব্লাকবোর্ডের পরিবর্তে স্ক্রিনেই হবে বাচ্চাদের শেখানো পড়ানোর বিষয়। প্রতিটি শ্রেনীতে সপ্তাহে তিনদিন যাতে স্মার্ট ক্লাস করা যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডিজিট্যাল ক্লাশের মাধ্যমে স্কুল পড়ুয়াদের দেয়া হবে এন্ড্র্যেড ট্যাবলেট। তার মধ্য দিয়েই তারা পড়তে শিখতে পারবে। আপাতত ৩৩০টি ট্যাবলেট কিনছে জেলা পরিষদ। স্কুলপড়ুয়াদের দেয়া হবে তা। প্রতি পাঁচজনের জন্য একটি ট্যাবলেট। এই হিসেবেই চলছে এডিসি। সঙ্গে হ্যাপিনেস ক্লাস। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা খরচ করবে এডিসি। বলেছেন রাধাচরণ দেববর্মা। বিদেশে অনেক আগেই শিশুদের বিকাশে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উত্তরপূর্বাঞ্চলের মধ্যে ত্রিপুরাতেই প্রথম এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে এডিসি। দাবি রাধাচরন দেববর্মার। আগরতলা, ত্রিপুরা