চালচুলো নেই। পথেই বাস । কুড়িয়ে-বাড়িয়ে । ফেলে দেয়া প্যাকিং বাক্স বিক্রি করে। কোনও সংস্থার দেয়া দয়ার খাবারে, এবং কেউ আরও অন্যভাবে পেটের ব্যবস্থা করেন। প্রতিদিন ব্যবস্থা না হলে, সেই কিছু নেই খাবার। রাস্তার জীবন বন্ধ থাকলে, তাদেরও পেট বন্ধ।
চলে আসছে তাই, এভাবেই , নতুন কিছু নয়।
তাদের মধ্যে অনেকেই শহরে এসেছিলেন কোনও দূর থেকে। কারও হয়ত ছোট থেকেই পথে পথে ঘুরে বড় হওয়া। তাদের কোনও ঠিকানাই নেই ।
দোকানের বারান্দায়, কোনও যাত্রী শেডে সারাবছর, শীত-জল, সবই এখানে। এইসব ‘পরিবারে’ ছোট ছোট শিশুও থাকে। একেবারেই কোলের শিশু থেকে কয়েকবছরের। এই পথে দশ/বারো বছর হয়ে গেলে , কেউ আর ‘শিশু’ না, নিজের পেট নিজের, হিজ হিজ হুজ হুজ।
এই মানুষেরা অসুস্থ হয়ে পড়লে, সংক্রমিত হয়ে পড়লে, ভাইরাস তো রয়ে যাবে এই পরিবেশেই। ‘ কম্যুনিটি’ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। হোম কোয়ারাইন্টাইন, আইসোলেসন, এইসব শব্দ ও অর্থ, তাদের কাছে কীভাবে যাবে !
এই পথে হয়ত নেশাখোরও আছেন. নেশা আছে,মুক্তি নেই।
জনতা কারফিউ’র দিন ২২ মার্চ দ্য প্লুরাল কলাম এমন কয়েকজনের সাথে কথা বলেছে। করোনা ভাইরাস ও তার মৃত্যু ভয়, তাদের ঝাঁকি দেয়নি , ঝাঁকি দিচ্ছে ‘করুণা’। দ্য প্লুরাল কলামও ছবি তুলে , সময়ে স্টোরি করা যাবে করেই কাজ সেরেছে, তার বেশি কিছু করেনি, কোথাও তাদের হয়ে সওয়াল করেনি, নিউজ হলে দেখে নেবেন কেউ, সান্ত্বনা এই তো আছেই।
ত্রিপুরার নগর উন্নয়ন দফতর শহুরে গৃহহীন, নির্মাণ শ্রমিক, গরীব, প্রমুখদের জন্য দুইবেলা খিচুরির প্যাকেট দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তবে কবে থেকে তা হচ্ছে, সেটা জানা যায়নি। স্টেট ডিসাস্টার রিলিফ ফান্ড থেকে খরচ মেটানো হবে। নগর উন্নয়ন দফতর’র ডিরেক্টর ডাঃ শৈলেশ যাদব এই খাবার দেয়ার জন্য সব নগর পঞ্চায়েত , পুর নিগম, পুর পরিষদ-কে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে শহুরে গরীব বলতে, বিপিএল, ইত্যাদি কিছু বলা হয়নি। এই ব্যাপারে আরও খবর পাওয়া গেলে, আপডেট করা হবে।
২৪ মার্চ দুপুর দু’টো থেকে ত্রিপুরায় লকডাউন শুরু হয়েছে। সারা ভারতে মধ্যরাত থেকে।
( এই ভিডিও তোলা হয়েছে ২২ মার্চ , ২০২০)