করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ! উড়ে বেড়ায় গুজব।
গুজবে ভয়ই ছড়ায়, তবে কী করলে আটকানো যেতে পারে এই ভাইরাসকে, অন্তত আটকানোর চেষ্টা কী হতে পারে, সেই জরুরি খবরটাই থাকে না।
সাধারণ মানুষ করোনা ভাইরাসের কবলে পড়তেই পারেন, বাস, ট্রেন, প্লেন কত কিছুই ব্যবহার করতে হয়, যেতে হয় বাজার-দোকান-অফিসে, একজন থেকে আরেকজনে যেতে পারে। সাধারণ স্বাস্থ্য-নিয়ম মেনে সাবধানে থাকা, সতর্ক থাকাই কাজ। সাধারণ মানুষই যদি ঝুঁকিতে থাকেন, যারা প্রতিদিন সামলাচ্ছেন অসংখ্য জ্বর-কাশি-সর্দি-শ্বাসকষ্টে, মানে একেবারে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের প্রাথমিক লক্ষণে ভোগা মানুষজনকে, তাদের ভাল করে তুলছেন, তাদের ঝুঁকি কতটা ! চিন দেশে যে ডাক্তার কয়েকমাস আগে প্রথম এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছিলেন, সেই ডাক্তার যুবকও মারা গেছেন।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা ডাক্তার-নার্স-ওয়ার্ড স্টাফ-অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কী করে বাঁচাবেন নিজেকে !
ডাক্তার দীপঙ্কর প্রকাশ ভৌমিক বলছেন, করোনা ভাইরাসই হোক , আর সাধারণ ফ্লু ভাইরাস, পদ্ধতি একটাই, প্রতিষ্ঠিত যে নিয়ম আছে সতর্ক থেকে চিকিৎসা করার, সেগুলি সব সময়েই মানতে হবে। এখন করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে বলে হয়ত সাবধানতা আছে, আবার কিছুদিন পর ঢিলেঢালা হয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে। সেটি চলবে না। পেশাগত ঝুঁকি থাকলেও, কার কী হল, সেটা বাদ দিয়েই চিকিৎসা করতে গিয়ে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবেই।
ডাঃ দীপঙ্কর মনে করিয়ে দিয়েছেন, আতঙ্কতি হবার যেমন ব্যাপার নেই, তেমনি সতর্ক থাকতেই হবে।
অনেক ডাক্তার বা চিকিটসা কর্মী যে এই দিকটি নিজেদের জন্য দেখেন না, উদাসীন ! হাসপাতালে-হাসপাতালে, চেম্বারে ক’জন মাস্ক পড়া ডাক্তার দেখা যায় ! বাধ্য করার কোনও নির্দশিকা হয় কী ! হয়ত সবাই মনে রাখেন না, আর রাখেন না বলেই একটি হাসপাতাল থেকে ভয়ে কেউ কেউ বেরিয়ে পড়েছিলেন, সেই আতঙ্ক অন্যদের মধ্যেও গেছে। নিয়মিত সচেতনতা ক্যাম্প, ট্রেনিংও আছে বলে ত শোনা যায় না !
সাধারণ মানুষও সেসব নিয়মই মানবেন, যেমন মাস্ক ব্যবহার করা, বার বার হাত ধোয়া, কারও শ্বাস যেন সরাসরি না আসে নাকে-মুখে, ইত্যাদি।