খোলা জায়গায় বা আউটডোরে বন্ধ থাকছে সমাবেশ। করোনা ভাইরাসকে আটকাতে এই ব্যবস্থা। যেসব ক্ষেত্রে এড়ানো যাবে না, সেখানে আয়োজকদের ব্যবস্থা নিতে হবে যেন সংক্রমণ ছড়িয়ে না যায়। ত্রিপুরায় এই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
বন্ধ হতে পারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ‘সীমান্ত হাট’ ।
“রাজনৈতিক বা যেকোনও কিছুই বন্ধ থাকবে। মূলত আউটডোরের দিকেই নজর দেয়া হচ্ছে। ইন্ডোরে নিয়মিত ফগিং,ইত্যাদি করতে হবে,” বলেছেন স্বাস্থ্য সচিব দেবাশিস বসু। “বিয়ের প্রস্তুতি, ইত্যাদি অনেক দিনের ব্যাপার,তাই চট করে আটকানো যায় না, তবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।”
জেলা শাসকদের বলা হয়েছে বাজার, মল এবং সিনেমা হল, এসব ক্ষেত্রে প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিতে। বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশনে সচেতনতার ব্যবস্থা নিতে হবে, বলেছেন ত্রিপুরায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের নোডাল অফিসার ডাঃ রাধা দেববর্মা।
ত্রিপুরাতে এখনও কোন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। তবে সতর্কতার জন্য একজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে আগরতলার জিবিপি হাসপাতালের আইসোলেসন ইউনিটে। চারটি জায়গায় কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্প’র ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আগরতলায় আইজিএম হাসপাতালের নতুন ভবন, চাম্পাহাওর প্রাথমিক হাসপাতালের নতুন কোয়ার্টার বাড়ি, দক্ষিণ ত্রিপুরার দেবদারু প্রাথমিক হাসপাতাল, এবং উত্তর ত্রিপুরার রাজনগর প্রাথমিক হাসপাতাল। প্রয়োজনে আরও ক্যাম্প খোলা হবে, বলেছেন ডাঃ রাধা দেববর্মা।
বাংলাদেশ থেকে একজনের বিলোনীয়া সীমান্ত দিয়ে গতকাল ত্রিপুরায় ঢোকার সময় শরীরে বেশ জ্বর ছিল। তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিএসএফ জওয়ানদের বলা হয়েছে নিজেদের সুরক্ষার বিষয়টিতে বিশেষ যত্ন নিতে। বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলে কিছু সময়ের জন্য সীমান্ত হাটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
মুখ্যসচিব মনোজ কুমার জেলা শাসক এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন জেলাশাসকরাও নিজেদের জেলায় বৈঠক করেছেন। এম পি ডব্লু দের সি এম ও’রা আগামী দুদিনের মধ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন জনসচেতনতা কর্মসূচি শুরু করবেন যাতে মানুষ অযথা আতঙ্কিত না হন।
আগরতলা, ত্রিপুরা