বাংলাদেশের কুমিল্লার ইয়াকুব আলি এবং শিরিন বেগম আগরতলায় এসে আটকে পড়েছেন লকডাউনে। চেন্নাইয়ে ছিলেন ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য। হোটেলে জায়গা হচ্ছিল না। খোলা আকাশতলে মেলারমাঠে পুকুর পাড়ে বসেছিলেন। বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লার ঠাকুর পাড়ায়। আগরতলা দিয়ে দেশে ফিরছিলেন। কলকাতা থেকে সন্ধ্যার বিমানে পৌঁছেছেন। লকডাউনে আটকে পড়েছেন। চেকপোস্টও বন্ধ। খবর পেয়ে ছুটে যান আগরতলার সাংবাদিকরা। তাদের চেষ্টাতেই খবর যায় পুলিশে, স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে। খবর দেয়া হয়েছিল আগরতলায় থাকা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনেও। কিন্তু রাত হয়েছে বলে অনেকেই পাশ কাটিয়ে জাবার চেষ্টা করেন। একবার পুলিশ এসে ঘুরেও যায়। তারপরেও অনেকক্ষণ কেটে গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় তারা হোটেল খুঁজতে যাচ্ছেন। পরে এসে জানায় হোটেল পাওয়া যায় নি। নাছোড়বান্দা সাংবাদিকরাও। তারা ফের পুলিশে খবর দেন। রাতে এসে পুলিশ তাদের নিয়ে যায় মেলারমাঠের হজ ভবনে। সেখানে তাদের ব্যাগপত্র নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আইজিএম হস্পিটালে। সেখানে তাদের টেস্টের পর হজ ভবনে রাখা হবে। শেষ পর্যন্ত তাদের জায়গা হয়েছে হ্বজ ভবনে। যেখানে তারা ছিলেন , তার সামান্য দূরেই। ডেইলি দেশের পত্রিকা অফিস থেকে খাবার, জল দেয়া হয়েছিল। পাড়া-পড়শিরাও এটা-সেটা দিয়ে সাহায্য করেছেন। হাসপাতাল ঘুরে যাইহোক, হ্বজ ভবনে এখন। খোলা আকাশের নীচে অন্তত নেই ক্যান্সার রোগী।
আগরতলা, ত্রিপুরা