‘…………………ক্ষমা চাওয়া উচিৎ’ , শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেছেন, ত্রিপুরা সিপিআই(এম)’র সম্পাদক গৌতম দাশ ২০১৮ সালের ৩ মার্চ-কে ‘কালো দিন’ বলার প্রতিক্রিয়ায়। সেই দিন ভোট গোণা হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের।
টানা ২৫ বছর ত্রিপুরায় ক্ষমতায় থাকার পর বামফ্রন্ট হেরে গিয়েছিল, মন্ত্রীসভা যায় বিজেপি-আইপিএফটি জোটের কাছে
গৌতম দাশ এই ৩ মার্চ বিজেপি-আইপিএফটি জোটের ক্ষমতায় আসার দিনটিকে ‘কালো দিন’ বলেছেন। গত দুই বছরে সন্ত্রাস, আইন-শৃঙ্খলার অভাব, কাজের অভাব, ইত্যাদি নানা কিছুর প্রেক্ষিতে ওই মন্তব্য করেছেন গৌতম।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, বিপুল মানুষের ভোটে তারা এসছেন ক্ষমতায়, সেই দিনকে ‘কালো দিন’ বলে মানুষকে অপমান করা হচ্ছে। গৌতম দাশ’র উচিৎ ক্ষমা চাওয়া। তিনি সরকারের, বিজেপি-আইপিএফটি, ইত্যাদির সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু এভাবে মানুষকে অপমান করতে পারেন না।
বিজেপি-আইপিএফটি সরকার ও বামফ্রন্ট সরাকার, এই দুইয়ের পার্থক্য বোঝাতে শিক্ষামন্ত্রী তাদের সরকারের প্রথম বছরের আপরাধ তালিকার সাথে বামফ্রন্ট সরকারের টানা পঁচিশের প্রথম বছর ১৯৯৩-র তুলনা করেছেন, যদিও উদাহরণ শুধু ১৯৯৩ সালে আটকে থাকেনি , ২০১৬ পর্যন্ত এসেছে। ধর্ষণের উদাহরণের ক্ষেত্রে বামফ্রন্টের শেষ বছরের সংখ্যার সাথে তাদের প্রথম বছরের তুলনা আছে।
শিক্ষামন্ত্রী ১৯৯৩ সালের ডাকাতির সংখ্যার উল্লেখ করে বলেছেন, ক্ষমতায় ওই বছর বামফ্রন্ট আসায় বিরোধীদের বাড়িঘরে লুট-পাট চালানো হয়েছে।
প্রায় একই রকম অভিযোগ এখন সিপিআই(এম) করছে বিজেপি’র বিরুদ্ধে। তাদের একেকটা পার্টি অফিস পাঁচ বার/ ছয় বার আক্রান্ত হচ্ছে, কর্মী-সমর্থকদের দোকান-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। মিছিল করতে দেয়া হচ্ছে না। নির্দিষ্ট অভিযোগ করলেও পুলিশ কিছুই করছে না।পুলিশের প্রধান দফতরেও সিপিআই(এম) নেতারা গেছেন, প্রশ্ন করেছেন এসব চলবেই কিনা !
শিক্ষামন্ত্রী বামফ্রন্ট আমলে সন্ত্রাসবাদী, উগ্রপন্থী আক্রমণে মৃত্যু , আহত, অপহরণ, ইত্যাদির সংখ্যা দিয়ে বামফ্রন্ট আমলকে কালো অধ্যায় বলেছেন।
তবে এটাও তথ্য যে ত্রিপুরায় তিন দশকের পুরানো উগ্রপন্থা বাম আমলেই শেষ হয়েছে।এখন পর্যন্ত শান্ত আছে। সারা ভারতে ত্রিপুরাতেই এরকমভাবে এটি কমে গেছে। সেনাবাহিনীর বিশেষ আইন তুলে নেওয়াও এ রাজ্যেই সম্ভব হয়েছে, এই নজির আর নেই। ত্রিপুরা পুলিশ উগ্রপন্থা দমনে বিরল সম্মান ‘প্রেসিডেন্টস কালার’ পেয়েছে ২০১২ সালে। মাত্র চারটি রাজ্য পেয়েছে এটি।
আগরতলা, ত্রিপুরা