করোনা ভাইরাস হোক, বা জনতা কারফিউ , ধর্মীয় আচরণে টান পড়েনি এতটুকুও।
আগরতলার প্রতাপগড়ে হাওড়া নদীতে ডুব দিয়ে বারুণী স্নান করেছেন হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা।
গঙ্গার একটি নাম বারুণী, তাই এই স্নান মানে গঙ্গা স্নান।
ঘর থেকে মানুষ আজ কাজে বের হননি। দোকান খোলেনি। গাড়ি নিয়ে বের হয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসায় পড়তে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মানুষকে ঘর থেকে বের হতে না করেছেন, ডাক দিয়েছেন ‘জনতা কারফিউ’-র । সারা দেশে ট্রেন বাতিল হয়ে গেছে। বিমান পরিষেবা কমে গেছে। বন্ধ আন্তঃরাজ্য বাস পরিবহন ব্যবস্থা। বিভিন্ন শহরে চলছে লক-ডাউন। রাজস্থান পুরো বন্ধ। আগরতলায় ভারত-বাংলাদেশ চেকপোস্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সাধারণের জন্য। জারি আছে ১৪৪ ধারা , পাঁচ জনের বেশি একসাথে হওয়ার নিষেধ আছে। বন্ধ হয়ে গেছে রাজনৈতিক সভা, শিক্ষকদের আন্দোলনও আজ বন্ধ আছে।
পাব্লিক প্লেসে বারুণী স্নান যেমন বন্ধ হয়নি, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ‘মাস গেদারিং’ বন্ধ ঘোষণা হলেও ঠিক চলেছে মেলাঘরে পাগলিমাসির মেলা। থিকথিক করেছে লোক।
হাওড়া নদীতে শহরের জল তো ফেলা হয়ই, দুই পাড়ে বসতি থাকায় মানুষের ত্যাগ করা জিনিসপত্রও মেশে এই জলে। এই জল যে স্বাস্থ্যকর নয়, কয়েকবছর আগে একটি সমীক্ষাতেও বেরিয়েছিল। শিশু কোলে স্নানে গেছেন মা।
করোনা ভাইরাসের কথা কেউ জানেন না, তেমন নয়, করোনা ভাইরাস’র জন্য ‘আনন্দ-ফূর্তি’ নেই বলে আপসোস জানিয়েছেন কয়েকজন পূণ্যার্থী। মেলা এবার হয়নি।