ত্রিপুরার সবচেয়ে বড় বাজার আগরতলার গোল ( মহারাজগঞ্জ) বাজারে হচ্ছে ‘গো-মাতা’ পূজা।
করোনা ভাইরাস আটকাতে এই আয়োজন, বলেছেন পুরোহিত।
বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি প্রত্যেকবছর ব্রহ্মা পূজা , কালীপূজা, ইত্যাদি করে। এবার ‘গো-মাতা’ পূজা করল প্রথমবারের মত, এবং তাও করোনা ভাইরাস’র হাত থেকে বাঁচতে। পুরোহিত বলেছেন, যে যে ধর্মে বিশ্বাস করেন, সেই মতে প্রার্থনা করে এই ভাইরাস আটকাতে।
করোনা ভাইরাস পুরো পৃথিবীকে তটস্ত করে ফেলেছে। পঁচিশ লক্ষের বেশি আক্রান্ত , মারা গেছেন দশ হাজারের বেশি। ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ , আক্রান্তের সংক্যা সোয়া দু’শো।
প্রাণী থেকেই এই ভাইরাসে এখন মহামারি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে, যদিও তা নিয়ে কিছু মতের পার্থক্যও আছে।
একজনের মানুষ থেকে আরেকজনে ছড়াচ্ছে। বার বার হাত ধোয়া, পরিস্কার থাকা, প্রতি দু’জনে দূরত্ব বযায় রাখা, ইত্যাদি পরামর্শ দিয়েছে সরকার এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। রবিবারদিন বাড়ি থেকেই না বের হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি আছে বেশি মানুষের জমায়েত যেন না হয়, তার জন্য।
দিল্লিতে করোনা ভাইরাস আটকাতে হিন্দু মহাসভা ‘গো-মূত্র’ পার্টি করেছিল। আবার গরুর পেচ্ছাপ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনাও হয়েছে। অন্তত দু’জন গ্রেফতার হয়েছেন এই দেশে করোনা ভাইরাস আটকাতে তাবিজ-কবজ কিংবা মন্ত্রপড়া জল বিক্রি করতে গিয়ে। ত্রিপুরাতেও ধর্মীয় জায়গায় ভীড় নিয়ন্ত্রণের আদেশ জারি হয়েছে। শ্রাদ্ধভোজ, ইত্যাদি অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ার খবরও আছে।
তবে কয়েকদিন ধরে মেলাঘরে পাগলিমাসির উৎসব হয়েছে, থিকথিক করেছে লোকজন।
বিভিন্ন ধর্ম প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে আছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ’র জন্য। যখন দেবতার স্থান বন্ধ , তখন হাসপাতালগুলি খোলা, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবন বাজি রেখে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। চিনে ডাক্তার মারাও গেছেন। বিজ্ঞানীরা ওষুধের খোঁজে ব্যস্ত।
সর্তকতা, সচেতনতা, বিজ্ঞান মনস্কতা-ই যে রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজে আসে , তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গোলবাজারে প্রতি বছরই ব্রহ্মা পূজা হয় প্রতিবছর। গোলবাজারে কোনওদিন আগুন দেখেনি, এমনটা তো নয়!
( স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত পাওয়া গেলে এই খবরে তা যোগ করা হবে )