একসময়ের ভারত বিখ্যাত ফুটবলার প্রদীপ কুমার ব্যানার্জির শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় গতকাল তাকে কোলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
শারীরিক অবস্থার খুব অবনতি হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছেন। ৮৩ বছর বয়স্ক এই প্রাক্তন ফুটবলার কিছুদিন আগেও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ।
ভারতের হয়ে ৪৫ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১৪ টি গোল করেছেন তিনি । ১৯৫১ সাল। জাতীয় আসরে বিহারের হয়ে সন্তোষ ট্রফিতে ১৫ বছরের এক কিশোরের অভিষেক হয়েছিল । তিনিই পিকে। কয়েক বছর পরে কোলকাতা চলে আসেন। কোলকাতা ময়দানে খেলেছেন এরিয়ান এবং ইস্টার্ন রেলের হয়ে। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ওঠে তাঁর। তিনটি এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন । ১৯৬২’র এশিয়ান গেমসে ফুটবলে সোনা জেতে ভারত। সেই দলের গুরুত্বপূর্ন সদস্য ছিলেন তিনি ।১৯৬০’র সামার অলিম্পিকে ভারত , ফ্রান্সের সাথে ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র করেছিল। ভারতের হয়ে একমাত্র গোল করেছিলেন পিকে।
কোলকাতা ময়দানের প্রধান দুই প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানকে কোচিং করিয়েছেন তিনি। ভারতের ফুটবল আঙিনায় কোচিং এর ক্ষেত্রে এক নতুন ধারার জন্ম দেন তিনি। শুধু শারীরিক প্রশিক্ষণ নয় , বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া সহ মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ও যে গুরুত্বপূর্ন তা পিকে নিজের কোচিং-এ তুলে ধরতেন। জাতীয় দলেরও প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি ।১৯৭২ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত জাতীয় দলের কোচ ছিলেন পিকে।
২০০৫ সালে ফিফা পি কে ব্যানার্জিকে প্লেয়ার অব দ্য মিলেনিয়াম সম্মানে ভূষিত করে। ১৯৬১ সালে অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন । ১৯৯০ সালে সম্মানিত হন পদ্মশ্রী সম্মানে ।
ভারতের ফুটবলের একটা বড় টাইমলাইনের নাম পি কে ব্যানার্জি।