একদিনে এটাই সবচেয়ে বেশি করোনাক্র রোগীর সংখ্যা জানা ৮৮, আর তা নিয়ে ভারতে মোট অঙ্ক ৬৯৪। মৃত্যু ১৬। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৮ জন বিদেশি। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত, ১২৪, তারপঢ়েই কেরালা , ১১৯। আন্দামান এবং নিকোবরে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর এসেছে, ত্রিপুরার পাশের রাজ্য মিজোরামেও প্রথম একজনের ধরা পড়েছে। মধ্যপ্রদেশে প্রথম মৃত্যু দেখছে। স্বাস্থ্যসচিব বলেছেন, এখনও কম্যুনিটিতে এই রোগ ভারতে ছড়ায়নি। যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে, তবে তা ছড়াবেই না। নিয়ম মেনে চলল্ তা সম্ভব।
সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ, মৃত্যু ২২ হাজারের বেশি।
কেন্দ্রীয় সরকার ১.৭ ট্রিলিয়ন টাকার প্যাকেজ ঘষণা করেছে, ডাক্তার, সাফাইকর্মী, আশাকর্মীসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রত্যেকের জন্য ৫০ লাখ টাকার বীমা থাকবে। গরীবদের জন্য গরীব কল্যাণ যোজনা।
সমস্ত মন খারাপ করা খবরের মধ্যে বেশ কিছু বিখ্যাত মাইক্রোবায়োলজিস্ট বলেছেন, একুশ দিনের লকডাউন শেষে ভারতে গরমও বেশ বেড়ে যাবে, সেই তাপ করোনা ভাইরাস’র হু হু করে ছড়িয়ে পড়া আটকাবে।
“ এপ্রিলের শেষে তাপমাত্রা বাড়ে , আমি ভীষণভাবে মনে করছি, তাতে এই মহামারী আটকাবে এই দেশে”, বলেছেন প্রফেসর জে এস ভিরদি। তিনি দেশের সবচেয়ে পুরোনো বিজ্ঞান কর্মীদের কয়েকটি সংগঠনের একটি, অ্যাসোসিয়েসন অব মাইক্রোবায়োলজিস্টস ইন ইন্ডিয়া’র প্রধান।
পৃথিবীর নানা জায়গায় গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এই নানারকমের করোনা ভাইরাস “ শীতের সময়কার” জিনিস। সোজা কথায় , গরমের চেয়ে শীতে তাদের বাড়বাড়ন্ত বেশি। অনেকেই বলছেন, জিন নাগাদ কোভিড-নায়েন্টিন’র প্রকোপ এখন যা আছে, তার থেকে অনেক কমে যাবে।
“ ঠিকই ! অনেক বিজ্ঞানীরাই এই জুন মাসের কথা বলছেন। আমাদের চীনা মাইক্রোবায়োলজিস্ট বন্ধুদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, এটা হাই টেম্পারেচার সহ্য করতে পারে না। আসলে প্রায় সব রকমের ভাইরাসই অক্টোবর থেকে মার্চ, এই কয়মাস গন্ডগোল করে, কারণ তাপমাত্রা ভাইরাসের ওপর বিশেষ প্রভাব ফেলে,” বলেছেন প্রফেসর প্রত্যুষ শুক্লা। তিনি মাইক্রোবায়োলজিস্টস ইন ইন্ডিয়া’র সম্পাদক।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, তিন ধরনের করোনা ভাইরাসই শীতের সময় সক্রিয় হয়। এই সময়টাতেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়ায়। কোভিড-নায়েন্টিনও দেখা যাচ্ছে ঠাণ্ডা এবং শুকনো অবস্থা পছন্দ করে।
তবে জে এস ভিরদি একটা নতুন কথাও বলেছেন, তার মনে হয়েছে, এটি বাতাসে ভেসে ছড়িয়ে পড়ছে। “ আমার পঞ্চাশ বছরের জীবনে এত তাড়াতাড়ি কোনও ভাইরাসকে ছড়াতে দেখিনি। আর এত তাড়াতাড়ি ছড়াচ্ছে বলেই আমার সন্দেহ, এটি বাতাসে ভেসে ছড়াচ্ছে’, বলেছেন প্রফেসর।
তিনি বলছেন, “এই বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে বলেই বাড়াবাড়ি কমছে না। ড্রপ্লেট নিউক্লি এটি। তাছাড়া এটি বেশিক্ষণ টিঁকেও থাকছে । ফলে তাড়াতাড়ি নিস্ক্রিয় হচ্ছে না।
লকডাউনই এখন একমাত্র করণীয়। তাতে যদি এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার চেন ভাঙে, বলেছেন প্রফেসর শুক্লা।
ভিডিও কনফারেন্স করে তারা এর মধ্যেই ভারতে কোভিড-নায়েন্টিন বিষয়ে আলোচনা করবেন ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব বলেছেন, রোগী বাড়ার যা হার, তাতে বিষয়টি এখনও স্থিতাবস্থাতেই আছে,তবে এটি নিতান্তই প্রাথমিক লক্ষণ।( আইএএনএস থেকে তথ্য নিয়ে)