লকডাউন শুরু হয়েছে এক সপ্তাহ হল। দিন-এনে-দিন-খাওয়া মানুষেরা চরম অসুবিধায় আছেন, সন্দেহ নেই। চা-বাগান শ্রমিক, গ্রামীন গরিব মানুষ, দুধওয়ালা অসুবিধায়ই আছেন। শহরে খাবার দেয়া হচ্ছে, বেশ কিছু মানুষ তাতে উপকারও পাচ্ছেন। দিন-এনে-দিন-খাওয়া মানুষের সারা বছরই জরুরী অবস্থা। সারা বছরই ভয় পেটের।
তার বাইরে অন্য ছবিও আছে। কোনও কারণ ছাড়াই রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো, বিদ্যুৎ পরিবাহী তারে বাঁশ দিয়ে খোঁচাখুঁচি, গালগল্প-আড্ডা , কী নেই এই লকডাউনে । কোথায় সামাজিক দূরত্ব ! সুযোগ যেন আরও কিছু গল্প করে নেয়ার। বিষয়টা তারা জানেন না , এমন নয়। দিন দুই আগেও আগরতলার বাজারে বাজারে সাংঘাতিক ভীড় জমানো মানুষেরা পোষাকে অন্তত শহুরে, এমন ভীড় ! যেন মেলা হচ্ছে । এখন কোথাও কোথাও বাজার সরিয়ে নেয়া হয়েছে খোলা জায়গায়। সব বাজার এভাবে সরানো সম্ভবও না।
ঠিক যেমন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে ১৪৪ ধারা জারি হলেও পাগলি মাসির উৎসব ঠিকই ছিল। শিক্ষক আন্দোলনে পুলিশ প্রিভেন্টিভ ডিটেনসন করেছে, অন্তত তিনজনের বাড়িতে পুলিশের কাগজ পৌঁছেছে। কিন্তু পাগলি মাসীর উৎসব ঠিক ছিল ।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার নিষেধ মানা যেন কথার কথা, ব্যাট-বল হাতে চলছে ক্রিকেট খেলা। অভিভাবকগোছের কেউ বলছেন, পুলিশ আসে না তো, ছেলেদের বার বার কী বলা যায় ! পুলিশ তাই মারে বলে দায়িত্ব শেষ !
গলিতে গলিতে আড্ডার ভীড়। রাস্তার মোড়ে হাঁটছেন কেউ। পুলিশের গাড়ির আওয়াজে একটু আড়াল হওয়া।
ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে, বড়রা আড্ডা পিটছে !
তার বাইরেও অন্য ছবি আছে ।
গ্রামের মানুষ বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখন এই সময়ে বাইরের মানুষ আসবেন না। একান্ত আসতেই যদি হয়, তাহলে সেটা গ্রামের অনুমতি সাপেক্ষ। জরুরি কাজে বাইরে যিনি গেছেন, ফিরে এসে আগে হাত ধোবেন , গ্রামের মুখেই রাখা আছে জল-সাবান। লাগানো আছে গেট।
এবং এরকম জায়গা একটি নয় , একের বেশি, দ্য প্লুরাল কলাম’র কাছেই অন্তত তিনটি জায়গার খবর আছে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় দু’টি, গোমতী ত্রিপুরায় একটি।
দ্য প্লুরাল কলম বৈরাগী পাড়ার ছবি প্রথম সামনে এনেছিল।