সরকারি চাকরি থেকে বাতিল হওয়ার মুখে হাজার হাজার শিক্ষক ত্রিপুরায়। ১৩২৩ নামে পরিচিত এরা বিভিন্ন গ্রুপে রাস্তায় নেমে এসেছে এখন, ৩১ মার্চ তাদের মেয়াদ শেষ।
ঠিক এখনই, আরও কিছু মানুষ, যারা গত বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপি’র হয়ে খেটেছেন বলে দাবি করছেন, বহু বছরের পুরানো দাবি আবার সামনে এনেছেন।
তাদের বয়স এখন অনেকেরই ষাট পার হয়েগেছে। সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাবার বয়স পার হয়েবগেছে।সরকারি চাকরি চেয়ে তারা চিঠি দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং অন্য বিধায়কদের কাছে গেছেন।
তারা অবশ্য একবার চাকরি পেয়েছিলেন। তখন ত্রিপুরায় জোট সরকার। কংগ্রেস-টিইউজেএস জোট সরকার। ১৯৯২ সালের শেষে, জোট জমানা প্রায় শেষ তখন, তারা চাকরি পেয়েছিলেন আগরতলা পুরসভায়। ১৯৯৩ সালে বামফ্রন্ট সরকার আসার আগেই তাদের চাকরি অর্থ দপ্তরের কোন অনুমোদন না থাকায় চলে যায়। তাদের চাকরি যায় ২৩ মার্চ, আর বামফ্রন্ট সরকার শুরু হয় ১০ এপ্রিল, ১৯৯৩ সাল থেকে। তারা দুবছর চাকরি ফিরে পাবার দাবিতে আন্দোলন চালিয়েছিলেন। গঠন হয়েছিল আগরতলা পৌরসভার ছাঁটাই কর্মচারী সমিতি।
সংখ্যায় ছিলেন ৩৮৭ জন। এখন নতুন করে তারা চাকরি চাইছেন বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের কাছে। তাপস চক্রবর্তী পৌর ছাঁটাই কর্মচারী সমিতির সভাপতি। নিজেদের কথার সঙ্গে টেনে এনেছেন ১০৩২৩ শিক্ষকদের বিষয়টিও। তার দাবি শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের ২৫ বছর আগের বিষয়টিও যাতে বিবেচনা করা হয়।
বামফ্রন্ট সরকার থাকলে তাদের চাকরি হবে না,তারা এটা জানতেন, এই বিজেপি সরকার গঠনের জন্য খাটাখাটি করেছেন বলে, এবার চেয়েছেন প্রতিদান !
ভিডিওঃ অভিজিৎ আগরতলা, ত্রিপুরা