করোনা ভাইরাস ঠেকানোর বিষয়টিকে সামনে রেখে ত্রিপুরায় জারি হতে পারে ১৪৪ ধারা।
সভা-সমিতি-মাস গেদারিং বন্ধ হয়ে যেতে পারে । প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বরুণ কুমার সাহু প্রতিটি জেলা শাসককে বলেছেন, তারা ১৪৪ ধারা চালু করতে পারেন। সভা-সমিতি ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখতে আদেশ দেয়ার করার কথাও বলা হয়েছে।
তবে স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে।
সভা-সমিতি ‘রেস্ট্রিক্ট’ করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে কিন্তু কেউ কেউ সেটা মানছেন না, তাতে মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে, বলেও সাহুর মেমোতে লেখা হয়েছে।
কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্য সচিব ডাঃ দেবাশিষ বসু একটি পরামর্শ-নির্দেশিকা দিয়েছিলেন। সেখানে সভা-সমিতি এড়ানোর কথা বলেছিলেন। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে যেন আয়োজকরা সরকারি পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যবস্থা করেন।
রাজধানী আগরতলায় লাগাতর গণ ধর্না চলছে শিক্ষকদের, আগামীকাল আরও কিছু শিক্ষক গণ অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন। তাছাড়াও উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে মে মাসে , ফলে স্বাভাবিক হিসাবে ভোটও হবে। রাজনৈতিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ইভিএম ব্যবস্থা করা, ভোটার তালিকা প্রকাশ, ইত্যাদিও হয়েছে।
মুখ্যসচিব মনোজকুমারও একটি নির্দেশ জারি করেছেন, সিনেমা হল, স্যুইমিং পুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। হোস্টেল ছেড়ে দিতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের ২১ মার্চের মধ্যে। সামাজিক অনুষ্ঠান, বিদেশে যাওয়া কমিয়ে আনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ত্রিপুরায় এখনও কোনও করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খবর নেই। আগরতলায় সরকারি মেডিক্যাল কলেজটি ভারতের বাহান্নটির মধ্যে একটি কোরোনা ভাইরাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার।