গর্জণমুড়া থেকে মহাদেব বাড়িতে এনে রাখা শিবলিঙ্গ আর্কিওলোজিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে কিনা, গোমতী জেলা শাসক টি কে দেবনাথ বলেছেন, ‘না।’
ত্রিপুরার দিঘীর শহর উদয়পুর থেকে কিল্লার পথে গর্জণমুড়া। বৃহস্পতিবারে গর্জণ্মুড়ায় ‘মাটি খুঁড়ে শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে’ বলে খবর ছড়ায়। জায়গাটি একটি স্কুল ও একটি দরগা’র কাছে।
কোভিড ওয়ান নাইন লকডাউন চললেও ভীড় জমে যায়। শিবলিঙ্গে দুধ ঢেলে পূজা শুরু হয়ে যায়। জায়গাটিতে বেড়া পড়ে।
প্রশাসন শিবলিঙ্গটি সেখান থেকে এনে মহাদেব বাড়িতে রেখেছে।
শিবলিঙ্গটি সেখান থেকে নিয়ে আসার পর, সেখানে আবার ভীড় জমে যায়। কিছুক্ষণ পরেই পাশের স্কুলের মিড-ডে-মিল’র পুরানো রান্নাঘরে আগুনে জ্বলে ওঠে। পুলিশ , ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নেভায়। এখন সেই জায়গায় পুলিশ টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই বলে জানা গেছে।
যারা শিবলিঙ্গটি দেখেছেন, তাদের দুই/একজন বলেছেন, এটি নিতান্তই একটি নতুন শিবলিঙ্গ বলেই খালি চোখে বোধ হয়।
এক অফিসার নাম উদ্ধৃত না করার শর্তে বলেছেন, ঢালাই করার জন্য ব্যবহার করা পলিথিন শিটের টুকরোও লেগেছিল তখনও। আরেকজন একই শর্তে বলেছেন, চকচক করছিল এটি, অ্যান্টিক কিছু নয় বলেই মনে হচ্ছে।
গর্জনমুড়া গোমতী জেলায়, জেলা শাসক টি কে দেবনাথ বলেছেন, না, এটি কোনও পরীক্ষার জন্য পাঠানোর কোনও প্ল্যান নেই।