ত্রিশ হাজার টাকা খরচ করে আসাম থেকে ত্রিপুরায় ফিরেছেন তিনি, ফিরেও ঘরে ঢুকতে পারেননি টানা দু’দিন । যদিও কোভিড-ওয়ান নাইন পরীক্ষায় তিনি নেগেটিভ। তাকে ফ্যাসিলিটি কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছিল তার প্রতিবেশীদের চাপে। তাদের বক্তব্য ছিল, দু’সপ্তাহ পরেই তিনি আসতে পারবেন বাড়িতে। আপত্তি এতটাই যে একসময় তার পরিবারের মানুষকেও বলতে হয়, তিনি যেন পরেই আসেন।
দুপুরে তাকে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে প্রশাসন।
লকডাউনের আগে আসামে গিয়েছিলেন তিনি, বড়ভাইয়ের বাড়িতে বাবাকে পৌঁছে দিতে। পরশুদিন রাতে শহরে ফিরেছেন। আগরতলার জয়নগরে একটি আবাসনে থাকেন। ঘটনা শুনে রবিবার রাতেই সেখানে গিয়েছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক সঙ্গীতা চক্রবর্তী। তিনি এলাকার মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, লাভ হয়নি। স্বাস্থ্যকর্মীদেরই নিয়ে যেতে হয়েছে গোবিন্দ দেবনাথকে কোয়ারান্টিনে।
” আবাসনের মানুষদের বোঝানো হয়েছে। তার দু’বার নেগেটিভ এসেছে পরীক্ষায়। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরিবারটিকে আর অসুবিধা করলে, আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে,” বলেছেন এডিসনাল এসডিএম বিনয়ভূষণ দাস।
রবিবারের ছবিও দেয়া হল।
( আইএএনএস ইনপুটসহ)
(আগরতলা, ত্রিপুরা)