ইনস্টাগ্রাম চ্যাটরুমে স্কুল পড়ুয়াদের কথোপকথনের স্ক্রিনশট দেখে চোখ কপালে উঠেছে। মেয়েদের ছবি সেখানে শেয়ার করে, কুৎসিত মন্তব্য করে, ‘গ্যাঙ রেপ’ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ঘটনা দিল্লির। দিল্লির এক নামী স্কুলের পনের বছরের এক ছাত্রকে পুলিশ আটক করেছে। আরও বাইশজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের তদন্তের জন্য ডাকা হচ্ছে, বলেছে দিল্লি পুলিশ। যাকে আটক করা হয়ছে, জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে তাকে পেশ করা হবে।
কী শিক্ষা পাচ্ছে ছেলেরা, কী পরিবেশ তাদের চারদিকে, এই মানসিকতার কোন সামাজিক কারাণে, এসব নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন আছেই, সেই বিষয় আবার উঠে এল।
নাবালকটিকে জিজ্ঞাসা করে পুলিশ যা তথ্য পেয়েছে, সেই অনুযায়ী পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছে,তবে সেই গ্রুপের অনেকেই এখন গা-ঢাকা দিয়েছেন।
দিল্লি পুলিশ জালিয়াতি, নকল নথি ব্যবহার, বদনাম করার জন্য জালিয়াতি, কোনও নারীর সম্মানহানির ইচ্ছা, ইত্যাদি অভিযোগে এবং ইনফরমেসন টেকনলজি আইনে মামলা নিয়েছে।
দক্ষিণ দিল্লির একটি নামী স্কুলের প্রিন্সিপাল পুলিশে অভিযোগ করেন বিষয়টি তদন্ত করার জন্য। সেটি সাইবার ক্রাইমকে পাঠায় সাকেত থানা।
তাছাড়াও আরেকটি থানায় একজন অভিভাবক এই অভিযোগ করেন।
সোমবারে পুলিশ ইনস্টাগ্রামকে এই গ্রুপের ব্যপারে তথ্য চায়।
সাইবার ক্রাইমের ডেপুটি কমিসনার অনিশ রায় বলেছেন, আমরা ইনস্টাগ্রামের কাছে সদস্য, এডমিন, তাদের আইপি এড্রেস, ইত্যাদির পুরো বিবরণ চেয়েছি।
গ্রুপটির স্ক্রিনশট একটি মেয়ে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার পর বিষয়টি চোখে পড়ে। মেয়েটি এরকম আরো গ্রুপের কথা লিখেছেন।
সাউথ দিল্লির ১৭-১৮ বছর বয়েসী কিছু ছেলে ‘ বয়েজ লকার রুম’ নামের এই গ্রুপটিতে তাদের বয়সের মেয়েদের ছবি বিকৃত করে, কুৎসিত কথা বলে। আমার স্কুলের দু’টি ছেলে এই গ্রুপে আছে। আমার মা এখন আমাকে আইজি ( ইনস্টাগ্রাম গ্রুপ) ছেড়ে দিতে বলছেন, লিখেছেন মেয়েটি।
মেয়েটি গ্রুপটির সদস্যদের তালিকা ও কথাবার্তার স্ক্রিনশট দিয়েছেন, সেখানে দেখা গেছে মেয়েদের ছবিতে ছেলেরা মন্তব্য করছেন।
দিল্লি মহিলা কমিসনের চেয়ারপার্সন, স্বাতী মালিওয়াল বলেছেন, ” এটি ধর্ষকাম মানসিকতার উদাহরণ।” কমিসন পুলিশ ও ইনস্টাগ্রামকে নোটিশ দিয়েছে।
( নয়াদিল্লি, আইএএনএস ইনপুটস )