প্ৰথম খবর

সকালে ফাঁকা গেল রবীন্দ্র শত বার্ষিকী ভবন, সাতচল্লিশ বছরে প্রথম বার

By Master

May 08, 2020

জমায়েত বন্ধ। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

আগরতলার রবীন্দ্র শত বার্ষিকী ভবন’র খোলা জায়গায় প্রতি বছর ‘কবি প্রণাম’  করছে ছন্দনীড়। আধা শতাব্দীর বয়স প্রায় এই ২৫ বৈশাখ  উদযাপনের।

একটি বাংলা দৈনিকের সম্পাদক  সমীরণ রায় যুক্ত  সংস্থার জন্ম থেকেই, বলেছেন, ১৯৭১ সালে সংস্থার জন্ম।সেই  বছর রবীন্দ্রভবনে  শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস, বিভা সেনগুপ্ত, এবং বাণী ঠাকুর এসেছিলেন।  হলের  ভাড়া পঞ্চাশ টাকা, এবং ইলেকট্রিক চার্জ কুড়ি। দু’দিন অনুষ্ঠান হয়েছিল।  লোকের ভিড় কমেনি।তখন ছিল ‘রবীন্দ্র সন্ধ্যা’।   মানুষের অনুরোধে তৃতীয় দিন তুলসীবতী স্কুলে সকাল বেলা অনুষ্ঠান হয়।

পরের বছর আবার হল। তৃতীয় বছর হয়েছে রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যা নামে।    নজরুল ইসলাম বড় ছেলে কাজী সব্যসাচী এসেছিলেন। ১৯৭৪ সাল থেকে সকালে  শুরু হল ‘কবি প্রনাম’ অনুষ্ঠান। ছন্দনীড়ের নামে হলেও আগরতলা শহরের প্রায় সব সাংস্কৃতিক সংগঠন এতে যোগ দিয়েছে।  ছিচল্লিশ বছর ধরে এমনই চলে আসছে।

কয়েক বার জায়গা পরিবর্তন হয়েছে অনুষ্ঠানের,  বন্ধ হয়নি। জায়গা পরিবর্তন করতে হয়েছে, তাও রবীন্দ্রভবন তৈরির সময়।এবারই করা গেল না। সমীরণ রায় বলেছেন, আজ সকাল থেকেই একটা শূন্যতা অনুভব করছেন। ২৫  বৈশাখে যা হয়নি, তা ২২শে শ্রাবণকে কেন্দ্র করে হতে পারে।

 

ছবি: ছন্দনীড়ের আগের অনুষ্ঠান থেকে।