প্ৰথম খবর

সাব্রুমে যাকে নিয়ে বিএসএফ-বিজিবি ফ্ল্যাগ মিটিঙ হল গতকাল, তাকে কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে

By thepongkor

May 02, 2020

সাব্রুমের ফেনী নদীর ওপাশে বাংলাদেশ। সেদিক থেকে একজন আপাতভাবে ভবঘুরে দেখতে মানুষ উঠে আসেন বলে অভিযোগ। গতকাল দুপুরের ঘটনা। বাংলাদেশের দিকে জায়গাটি রামগড়।

সাব্রুম ত্রিপুরার দক্ষিন দিকের একটি  জায়গা।

স্বপন চৌধুরি নামে একজন বিএসএফ’র নজরে আনেন বিষয়টি।

তারপর একসময় বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা হয়।

বিএসএফ এবং বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষার বাহিনী বিজবি ফেনী নদীর মাঝাখানে জলে দাঁড়িয়ে আলোচনা করেন । কোনও মীমাংসা হয়নি । দ্বিতীয় দফায় বিএসেফ-বিজিবি আলোচনা শুরু হয় দুই দেশের অস্থায়ী ব্রীজের ওপর। তাতেও কোনও সমাধান হয়নি। রাত বারটায় ত্রিপুরা পুলিশের কাছে ওই মানুষটকে তুলে দেয় বিএসএফ। তাকে  একটি গেস্ট হাউসে কোয়ারান্টিনে নেয়া হয়েছে। ডাক্তার এবং নার্স আছেন পাশাপাশিই।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, তার কোভিড-ওয়ান নাইন টেস্ট করা হচ্ছে।

সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে, রামগড়ে কোভিড-ওয়না নাইন রোগী পাওয়া গেছেন।

বিএসএফ’র অফিসাররা আজ হেলিকাপ্টারে উড়ে যান সাব্রুমে, কথা সাধারণ নাগরিকদের সাথেও।

 

 

সাব্রুমের মানুষের , বিশেষত সীমান্ত ঘেঁষা কাঁঠালতলী, ইত্যাদি এলাকার মানুষের বক্তব্য, কিছু দিনে বেশ এমন ঘটনা হচ্ছে। ২ এপ্রিল একজনকে দুইবার ওদিক থেকে ঠেলে দেয়া হয়েছিল। তিনি এদিকে আসার আগে , এদিক থেকেও আটকে দেয়া হয়। আবার সেই সময়ে ফ্ল্যাগ মিটিঙে আরও দু’জনকে ফেরত পাঠানো হয়। প্রত্যেকেরই মিল একটি, আপাতভাবে তারা ভবঘুরে।

 

২ এপ্রিল এক মহিলাকে নিয়ে ঘটনা। নদীর চরে খোলা আকাশের নীচে কুড়ি দিন তিনি ছিলেন। নাগরিকত্ব কোন্ দিকের, সেই প্রশ্নে কোনও দিকেই তার ঠাঁই হচ্ছিল না। যারা তার সাথে কথা বলেছেন, তিনি মানসিকভাবে সুস্থিত ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত তার পরিচয় পাওয়া যায়। তাকে বাংলাদেশের রেড ক্রিসেন্ট বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে বলে খবর।

 

ত্রিপুরায় এখনও ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক মানসিক চিকিৎসাধীন আছেন। কিছুদিন আগে প্রায় আট বছর পর সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন একজন, তিনিও কীভাবে এদিকে এসে পড়েছিলেন, নির্দিষ্টভাবে কেউ জানেন না, তবে চেকপোস্ট হয়ে নয়।