‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের একটি গ্রুপ চাকরির দাবিতে আগরতলার বিভিন্ন জায়গায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন আগরতলায়। সার্কিট হাউজের সামনে গান্ধী মূর্তির চারদিকে তারা দাঁড়িয়েছিলেন নিয়মের দূরত্ব মেনেই। পুলিশ এসে তাদের তুলে নিয়ে গেছে। বিশ্রামগঞ্জেও পুলিশ তাদের দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে বাধা দিয়েছে। সেখানে মিনিট দশেক রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফিরে যান চাকরি থেকে ছাঁটাই হওয়া শিক্ষকরা।
ত্রিপুরায় ৩১ মার্চ চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়েছেন হাজার হাজার শিক্ষক। আদালতের রায়ে তাদের চাকরি গেছে। শেষ কয়েক বছর তারা চুক্তিবদ্ধ শিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন। সেই চুক্তিও শেষ হয়ে গেছে ৩১ মার্চ। এই শিক্ষকরাই ‘১০৩২৩’ বলে পরিচিত। বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাদের ‘ন্যায়’ দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাদের নির্বাচনী ইস্তেহার ‘ভিশন ডকুমেন্ট’-এ তাদের বিষয়টি আছে। বিজেপি নেতারা সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের চাকরির বিষয় আইন সম্মতভাবে সমাধানের প্রতিশ্রুতি বার বার দিয়েছেন। আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ একাধিকবার বিকল্প ব্যবস্থার কথা শুনিয়েছেন। শেষে চাকরির চুক্তি শেষ হওয়ার সময়ে ত্রিপুরা সরকার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিকল্প চাকরি দিতে পারে যদি সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি পাওয়া যায়। সেইমত সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা হওয়ার কথা। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণার সাথে কিছু গ্রপ-সি ও ডি শূণ্যপদের কথাও শোনানো হয়েছে।
এই শিক্ষকদের এককালীন ৩৫ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।