প্ৰথম খবর

তিনমাস পর বাংলাদেশ থেকে ‘লোক্যাল’ মাছ আসা শুরু হল ত্রিপুরায়

By thepongkor

June 29, 2020

তিনমাস পর আগরতলা চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে মাছ আসা শুরু হয়েছে। সকালে পঁচ্চানব্বই দিন পর  প্রথম মাছের গাড়িটি  বাংলাদেশের আখাউড়া দিয়ে ত্রিপুরায় ঢুকেছে।

কোভিড পরিস্থিতিতে ২৪ মার্চ থেকে মাছা  আমদানি বন্ধ ছিল।

 

বাংলাদেশের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রফতানী বন্ধ ছিল। ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের কোনও আইনি  বাধা না থাকায় দুই দেশের ব্যবসাইয়ীরা  সকাল থেকে ত্রিপুরায় আবার  মাছ পাঠানো  শুরু করেছেন।

ডিসইনফ্যাক্ট্যান্ট ছড়ানো ছাড়াও অন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই কাজ হচ্ছে বলেও তার দাবি।

 

আখাউড়া স্থল বন্দরের সিএন্এফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ফোরকান আহাম্মদ খলিফা বলেছেন, মাছ পাঠানো  শুরু হওয়ায় আখাউড়া স্থলবন্দরে ব্যবসায়িদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে।  মাছ ব্যবসায়ি ও শ্রমিকরা  চরম দুর্ভোগের মধ্যে ছিলেন।

বাংলাদেশের আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম মানিক জানিয়েছেন, আজ প্রথম দিন সিমিত পরিসরে ২০ গাড়ি মাছ ভারতে যাচ্ছে। পরবর্তীতে পুরোদমে চালু হবে মাছ । মাছ  ছাড়পত্র দিতে তিনি নিজেই স্থলবন্দরে ছিলেন।

 

“ আজ মাছ ঢুকছে পাঁচ হাজার কেজির বেশি। মোট ১৬৫৮ কার্টনে মাছ এসেছে। অন্তত পনের লক্ষ টাকার মাছ, “ বলেছেন  ইন্দো-বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স ইমপোর্টার্স কম্যুনিকেসন সেন্টার’র সেক্রেটারি কৃষ্ণনন্দ মজুমদার।

তিনি বলেছেন, আগরতলা-আখাউড়া স্থল বন্দরে আগরতলার অংশে আশিজনের মত শ্রমিক মাছ পরিবহনে যুক্ত আছেন।

আর কোনও নতুন সরকারি নির্দেশিকা না আসলে, এখন থেকে নিয়মিত মাছ  আমদানি চালু থাকবে।

এই স্থল বন্দর দিয়ে মাসে অন্তত সোয়া একশ কোটি টাকার ব্যবসা হয় বলে তার অভিমত।

ত্রিপুরার মাছের বাজার বাংলাদেশ থেকে আসা মাছের ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ইত্যাদি রাজ্য থেকেও মাছ আসে।

রাজ্যের যা চাহিদা, সেটা ত্রিপুরার নিজের উৎপাদনে পূরণ হয় না।

 

ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশ, ইত্যাদি জায়গা থেকে আসা মাছকে এখানে ‘চালানি মাছ’ বলা হয়, তবে বাংলাদেশের মাছকে ‘ লোক্যাল’ ।

 

ভিডিও এবং আখাউড়া সংবাদঃ নুরুন্নবি ভুইয়া

( আগরতলা-আখাউরা )