ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলায় রাজ্যের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। সেখানে একজন বিচারাধীন বন্দীকে পাওয়া গেছে কোভিড-ওয়ান নাইন পজিটিভ। গতকাল রাতেই তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে আগরতলায় চিকিৎসার জন্য। বন্দীর বিরুদ্ধে নেশা-কারবারের অভিযোগ।
সিপাহিজলার জেলা শাসক সি কে জমাতিয়া বিষয়টি জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। তিনি বলেছেন, ওই বিচারাধীন ব্যাক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন, এমন মানুষদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে কোভিড-ওয়ান নাইন টেস্টের জন্য। তাছাড়াও বাইরের রাজ্য থেকে যারা এসেছেন, তাদেরও পরীক্ষা হবে।
জেলা শাসক পরিস্কার বলেছেন, বন্দীর বাইরের রাজ্যে যাওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। তাহলে তার সংক্রমণের উৎস কী, সেটা তার কথায় পরিস্কার নয়।
গতকালই তার শরীরে সংক্রমণের কথা জানা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সামাজিক মাধ্যমে ১০২ জনকে কোভিড পজিটিভ পাওয়া যাওয়ার খবর জানিয়ে বলেছিলেন যে এই ১০২ জনের প্রত্যেকেরই ‘ট্রাভেল হিস্ট্রি’ আছে। দুপুরে তিনি পাঁচ জনের পজিটিভ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন, অবশ্য সেখানে তাদের ‘ট্রাভেল হিস্ট্রি’ আছে, কী নেই , তা কিছু বলা হয়নি। গতকাল আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ ত্রিপুরায় কম্যুনিটি ট্রান্সমিসন না থাকার কথা বলেছিলেন।
জেলাশাসক এই বিচারাধীন বন্দীর পজিটিভ হওয়ার কথা জানাতে গিয়ে , তার নাম অন্তত তিনবার ( দ্য প্লুরাল কলাম’র ভিডিও-তে সেটি বাদ দেয়া হয়েছে) উল্লেখ করেছেন ।
মুখ্যমন্ত্রী ৪ মে একটি ভিডিও বার্তায় অন্যান্য বিষয়ের সাথে, পজিটিভ ব্যাক্তিদের নাম-ধাম প্রকাশ করার ব্যাপারে না করে দিয়েছিলেন। কারও সামাজিক মাধ্যমের খাতায় তেমন পাওয়া গেলে, সেই ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে পজিটিভদের সংখ্যা দিয়ে থাকেন, এখন পর্যন্ত কোথাও কারও নাম বা ঠিকানা দিতে দেখা যায়নি তাকে।
ত্রিপুরা পুলিশের সাইবার শাখাও তাদের ফেসবুক পেজে নাম, ইত্যাদি প্রকাশ করতে না করে দিয়ে অন্তত দুইটি পোস্ট দিয়েছে মাস দুই আগেই।
তবে সাংবাদিকদের কাছে এক মন্ত্রী ও তখনকার এক আমলাকে এক রোগীর নাম বলতে শোনা গিয়েছিল।